চিল উড়লে তবেই ঘট বিসর্জন হয় মেলাই চন্ডী মন্দিরে, জেনে নিন এই মন্দিরের রহস্য
হাওড়া জেলার আমতায় রয়েছে মা মেলাইচন্ডীর মন্দির। প্রায় সাড়ে চারশো বছর পুরনো এই মন্দিরের মূর্তি। কথিত আছে, জটাধারী চক্রবর্তী নামে সেবাইতের এক পূর্বপুরুষ স্বপ্নাদেশ পেয়ে মেলাইচন্ডী মন্দির তৈরি করেন। এখানে সারাবছর চণ্ডীর নিত্য পূজা হয়। দূর্গা পূজার সময় হয় ঘট পুজো।
প্রতিবছর বৈশাখী পূর্ণিমা এখানে চন্ডী পূজা হয়। চন্ডী যেহেতু দূর্গারই আরেক রূপ। তাই দূর্গাপূজার সময় আলাদা করে প্রতিমা বানানো হয় না। পুজোর সময় বেশ জাঁকজমক করে দূর্গা পুজো হয়। আর পাঁচটা দুর্গাপুজোর মতো এখানেও নিয়ম মেনেই সমস্ত কিছুই করা হয়। নবমীতে হয় পশুবলি। দশমীর দিন হয় সিঁদুর খেলা। দশমীর দিন এই মন্দিরের সেবাইতরা এবং আমতা শহরের সমস্ত বাসিন্দারা একসঙ্গে শোভাযাত্রা করে কাছের ধোপাঘাট এ ঘট বিসর্জন দেন।
তবে ঘট বিসর্জন করার আগে একটি নিয়ম পালন করা হয়। মন্দিরের পুরোহিত যখন বলেন ‘ওই চিল উড়ে গেল’ ঠিক তখনই ঘট বিসর্জন করার সময় এসে যায়। এখন আকাশে অতটা চিল দেখা যায় না, কিন্তু চিল দেখা না গেলেও প্রথা অনুযায়ী, পুরোহিতকে বলতেই হয় চিল উড়ে গেছে।