Titanic: টাইটানিক নিয়ে আবারও উঠে এল চমকে দেওয়া তথ্য, প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ
‘টাইটানিক’ নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। একশো বছরেরও বেশি আগে হিমশৈলের সাথে ধাক্কা খেয়ে আটলান্টিকের তলিয়ে গিয়েছিল এই বিলাসবহুল জাহাজ। এই জাহাজ নিয়ে রয়েছে বহু বিতর্ক। আদৌ এটি প্রকৃত টাইটানিক ছিল নাকি অন্য একটি ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজকে টাইটানিকের রূপ দিয়ে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয় বীমা সংক্রান্ত অপরাধের হাত থেকে বাঁচতে, তা নিয়েও রয়েছে কাহিনী। মনে করা হয়, জাহাজের নির্মাতারা জানতেন, ওই জাহাজটি ডুবে যাবে। ফলে তাঁরা নিজেদের টিকিট ক্যানসেল করেছিলেন। হিমশৈলের অবস্থান জানা সত্ত্বেও জাহাজ চলাকালীন ক্যাপ্টেন কোনোরকম ব্যবস্থা নেননি।
টাইটানিকের সাথে জড়িত আছে আরও একটি কাহিনী। মনে করা হয়, আটলান্টিকের বুকে ঘুরে বেড়ায় এক অভিশপ্ত জাহাজ যার আলো দেখলে দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী। টাইটানিকের যাত্রাপথে নাকি পড়েছিল ওই জাহাজ। ফলে ঘটেছিল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শতাব্দী পেরিয়েও থামেনি টাইটানিক বিতর্ক। আটলান্টিকের তলায় শ্যাওলা ঢাকা জাহাজের কঙ্কাল আজও গবেষণার বিষয়বস্তু। এর মাধ্যমেই সম্প্রতি উঠে এল এক চমকপ্রদ তথ্য।
চলতি বছরের মে মাসে ‘ওশেনগেট’ নামক একটি সংস্থা আটলান্টিকের উত্তরাংশে আট দিন ব্যাপী অভিযান চালায়। এই অভিযানে তাদের হাতে উঠে এসেছে টাইটানিক সম্পর্কিত বেশ কিছু নতুন তথ্য। এই তথ্যের সূত্র সংস্থার তোলা একটি ভিডিও যা এইট কে রেজোলিউশনে তোলা হয়েছে। সংস্থাটি দাবি করেছে, এর আগে টাইটানিকের এত স্পষ্ট ভিডিও তোলা হয়নি। এই ভিডিওটির মাধ্যমে টাইটানিকের রং ও জাহাজের গঠনশৈলীর খুঁটিনাটি পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জাহাজের বিশাল নোঙর ও ইঞ্জিন। বোঝা যাচ্ছে, দুটি টুকরো হয়ে ভেঙে গিয়েছিল জাহাজটি।
তবে ওশেনগেট-এর তরফে জানানো হয়েছে, তাদের অভিযান এখনই থামানো হচ্ছে না। জলের নিচে টাইটানিকের বিভিন্ন অংশ কিভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে তা জানতে আগামী এক বছর চলবে তাদের অভিযান।