কি কারনে দেবী দুর্গার সঙ্গে পূজিত হন মহিষাসুর রইল অজানা তথ্য
আর কদিন পরেই মা দূর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আসছেন তার সন্তান সন্ততি নিয়ে। মর্ত্যধামে পূজিত হন মা দূর্গা। তবে শুধু মা’ই নয় মায়ের সঙ্গে পূজিত হন মহিষাসুরও। কিন্তু কেন! যে মহিষাসুর স্বর্গলোক আক্রমণ করেন দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেন সেই মহিষাসুরকে পুজো করা হয়?
হ্যাঁ, শাস্ত্রে এমনটাই বলা হচ্ছে। মহিষাসুরের কাছে পরাজিত হই যখন রম্ভার কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন দেবতারা, ব্রহ্মা জানান কোনো পুরুষ মহিষাসুরকে বধ করতে পারবেন না। এই আশীর্বাদ তিনি রম্ভার কাছ থেকেই পেয়েছেন। তাই মহিষাসুরকে দমন করার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী নারী শক্তির। তখন দেবতাদের দেহ থেকে নির্গত হলো তেজ। আর সেই সমস্ত তেজ থেকেই তৈরি হলেন এক পরমা সুন্দরী নারী। তার দশটি হাতে অস্ত্র দান করলেন দেবতারা।
সর্বশেষে মহাদেব দিলেন ত্রিশূল। সেই দেবীর হুংকারে ছিল কাঁপতে শুরু করল। অবশেষে মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধে দেবীর। নিহত হন মহিষাসুর। মহিষাসুর একবারে মৃত্যুবরণ করেননি। তিনি তিনবার জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু এই তিন বার জন্মগ্রহণ করার পরেও তিনবার দেবী শক্তিরই জয় হয়। তবে মারা যাওয়ার আগে দেবীর পা ছুঁয়ে তার সঙ্গেই পূজিত হওয়ার আশীর্বাদ চেয়ে নেন মহিষাসুর। তাই এখানে দেবী দূর্গার সঙ্গে মহিষাসুরও উপযুক্ত হয়।