কলকাতার বুকেই ৫ টি রহস্যময় ভুতুড়ে স্থানে ঘটে যায় নানান অলৌকিক ঘটনা, রইল সেই হদিশ
খোদ কলকাতাতেই এমন কিছু কিছু জায়গা আছে যা রীতিমতো 'ভুতুড়ে জায়গা' নামেই পরিচিত
ভূতের অস্তিত্ব অনেকেই মেনে নেন আবার অনেকেই বলেন এসব যত পাগলামো। কিন্তু আমাদের খোদ কলকাতাতেই এমন কিছু কিছু জায়গা আছে যা রীতিমতো ‘ভুতুড়ে জায়গা’ নামেই পরিচিত। পুরনো বাড়ি, শ্মশানঘাট, পুরনো রাস্তা এই সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে কোথাও যেন একটা রহস্য। আজ আমাদের গন্তব্য কলকাতার পাঁচটি ভুতুড়ে জায়গায়।
১) নিমতলা শ্মশান ঘাট: শ্মশান শুনলেই একটা ভুতুড়ে পরিবেশ মনের মধ্যে এমনি তৈরি হয়ে যায়। এখানে এখনো মরদেহ পোড়ানো হয়। অনেকেই মনে করেন, এখানে নাকি তেনারা প্রায়ই ঘুরে বেড়ান। অমাবস্যার রাতে এখনো নাকি নানান রকম অলৌকিক ঘটনা সেখানে ঘটে।
২) ন্যাশনাল লাইব্রেরী: কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরি কে ঘিরে নানান রকম গল্প শোনা যায়। ন্যাশনাল লাইব্রেরী বল ডান্সের ফ্লোর থেকে ভেসে আসে কনসার্টের সুর। লাইব্রেরির কর্মচারীরা মনে করেন, লর্ড মেটকাফ এর স্ত্রীর আত্মা নাকি এখনো এখানে থাকেন।
৩) পুতুল বাড়ি: আহিরীটোলায় অবস্থিত এই বাড়িটি নিয়ে আজও রহস্যের শেষ নেই। এই বাড়িটিতে এখনো রাত্রি হলে কেউ আর দোতলা বা তিনতলায় ওঠার সাহস পান না। শুধুমাত্র রাত্রিবেলা নয়, ভরদুপুরে অশরীরীর উপদ্রব বুঝতে পারা যায়। তবে এই বাড়িটির পিছনে একটি ছোট রহস্য গল্প রয়েছে। এক সময় বাড়িটিতে এক বড়লোক বাস করতেন। বাড়িটি পুরো দেখাশোনার জন্য ছিল প্রচুর দাসী। মনিব সেই দাসীদের উপর যৌন অত্যাচার করতেন। দাসীরা একদিন এর বিরোধিতা করেছিলেন। এর ফলে তাদেরকে হত্যা করা হয়। হত্যা করা হলে তাদের লাশ বাড়ির পিছনে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। ধরে নেওয়া হয়, এই কারণে আজও সেই দাসীদের আত্মা এই বাড়িটিতে ঘুরঘুর করে। শোনা যায় কান্নার শব্দ।
৪) রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন: ট্রেনের লাইনে, মেট্রোর লাইনে আত্মহত্যার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে রবীন্দ্র সরোবরে নাকি ৮০% আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই নাকি এই স্টেশনে মেট্রো ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে সাদা শাড়ি পড়া অশরীরী আত্মাকে দেখতে পেয়েছেন।
৫) রাইটার্স বিল্ডিং: কলকাতার এক অন্যতম ভুতুড়ে জায়গা হল রাইটার্স বিল্ডিং। বলা হয়, রাত নামলে এই জায়গাটি নাকি অশরীরের একেবারে আখড়ায় পরিণত হয়। এখানকার নৈশপ্রহরী স্বীকার করেন যে, রাইটার্স বিল্ডিং এর পাঁচ নম্বর ব্লকটি মোটেই সুবিধার নয়। ফাঁকা ঘর গুলিতে মাঝে মাঝেই শুনতে পাওয়া যায় টাইপের আওয়াজ। তবে ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায়, এক সময় এখানে কলা গাছের জঙ্গল ছিল। কয়েকজন ইংরেজকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া এখানে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনয়-বাদল-দীনেশ এর হাতে কর্নেল সিমসেন এর খুন হওয়ার ঘটনা একেবারে অস্বীকার করা যায় না। সবমিলিয়ে পুরো সরকারি দপ্তরটি এক ভুতুড়ে জায়গায় পরিণত হয়েছে। (এই প্রতিবেদনটি প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটিস্টদের সমীক্ষা অনুযায়ী বর্ণিত, কোনোরকম ভীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।)