আবর্জনার স্তুপ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটিই আজ IPS অফিসার, জানুন কীভাবে
মানুষের জীবনে ওঠাপড়া তো লেগেই থাকে। কখনো উঠছে কখনো আবার পড়ছে। ওঠাপড়া নিয়েই তো মানুষের জীবন। জীবনের গ্রাফ কখনই সরলরেখা নয়, তার প্রতিটি বিন্দুতে বিন্দুতে লুকিয়ে থাকে বিস্ময় আর রোমাঞ্চ। আম’রা কেউই জানি না আজ থেকে ৫০ বছর পর আমাদের জীবনে কি হতে চলেছে। সেটা যেমন অসম্ভব তেমনি অবাস্তবও বটে। ইংরেজিতে একটা কথা আছেনা “জাস্ট গো উইদ ফ্লো।” জীবন কখন কোন দিকে বাঁক নেবে কখনও পাল্টাবে তা আগে থেকে ঠাওর করা খুবই মুশকিল, তাই জীবন যেদিকে যেতে চাই সেদিকেই যেতে দিন। এরকমই এক পাল্টে যাওয়া জীবনের কথা, এক চরিত্রের কথাই তুলে ধ’রা হলো আজ এই প্রতিবেদনে।ঘটনাটির সুত্রপাত আসামে।
আসামের এক গরীব ঘরের সবজি বিক্রেতা নিখিল। প্রতিদিন সকালে সবজি বিক্রি করতে বাজারে যায়, আর সেই সবজি বিক্রির টাকা থেকেই চলে নিখিলের ছোট সংসার। তার এই ছোট্ট সংসারেই ঘটলো একদিন এক অদ্ভুত ঘটনা। ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই, একদিন রাস্তায় প্রতিদিনের মতই সবজি বিক্রি করছেন নিখিল, ঠিক এই সময়ই তার চোখে পড়ে রাস্তার ধারে আবর্জনার স্তূপের মধ্যে কিছু একটা পড়ে আছে এবং সেখান থেকে শব্দ হচ্ছে। নিখিল দৌড়ে গিয়ে দেখতে পান একটি বাচ্চা শি’শু মে’য়ে সেখানে পড়ে আছে।নিখিল অ’বাক হয়ে যান, কিন্তু একজন ভালো মানুষিকতার পরিচয় দিয়ে তিনি ওই বাচ্চা মে’য়েটিকে নিয়ে যান তার বাড়ি। এবং ফেলে যাওয়া বাচ্চাটিকে বাঁ’চান নিখিল। মে’য়েটির নাম রাখেন মিথিলা।নিখিলের তখন বয়স ছিল প্রায় ৩২ ছুঁইছুঁই আর তিনি ছিলেন অবিবাহিতও ফলে বাচ্চাটিকে মানুষ করতে তার কোনো ধরণের অ’সুবিধাই হয়নি।
প্রবল দরিদ্রতার মধ্যেও মিথিলাকে তার নিজের মে’য়ের মতনই আদর যত্নে মানুষ করেন নিখিল, তাকে বড় করে তোলেন।শুধু তাই নয়, মিথিলার ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে উপযু’ক্ত ভাবে তৈরি ও করেন। মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়ে করে তোলেন মানুষের মতো মানুষ। যাতে ভবিষ্যৎ এ মিথিলাকে আর কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়।সেই মিথিলাই বড়ো হয়ে একজন আইপিএস অফিসার হয়।
বর্তমানে একজন আইপিএস অফিসারের পদে কর্ম’রত মিথিলাও বহু জায়গায় তুলে ধরেছেন নিখিলের অবদান। মিথিলা নিখিল কেই তার বাবা বলে বর্ণনা করেন সবজায়গায়। তাই স্যালুট জানাতেই হয় নিখিলের মতন এমন দৃঢ়চেতা, উদার মানসিকতার মানুষকে।