এই ঘটনা সম্পর্কের সমীকরণ বদলে দেয়। কথায় আছে, মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় স’ম্পর্ক হল সন্তান ও পিতামাতার স’ম্পর্ক। সেই স’ম্পর্কে কোন রকমের দাগ থাকে না এবং পৃথিবীর অন্যান্য যেকোন স’ম্পর্কের থেকে সেই স’ম্পর্ককে বেশী পবিত্র বলে মানা হয়। গোটা বিশ্বজুড়ে এই নিষ্পাপ এবং হৃদয়ের স’ম্পর্কের অনেক উদাহ’রণ পাওয়া যায়। গুগলে খুঁজলেও দেখা যায় বাবা মা এবং ছে’লের মধ্যে অনেক ম’র্মস্প’র্শী স’ম্পর্কের গল্প।
কথায় আছে ছে’লের কাছে পিতা মাতা স্বর্গের সমান এবং এই ব্যাপার অমান্য করলে সন্তানকে হতে হয় পাপের ভাগীদার। নরকে তার জন্য আলাদা শা’স্তির ব্যবস্থা থাকে। এইরকম অনেক কথা শুনতে পাই আম’রা। আম’রা সাধারণত বাবা ছে’লেকে নিয়ে যেসমস্ত ভিডি দেখি অথবা যেসমস্ত খবর পড়ি তারা সকলেই একবাক্যে এই স’ম্পর্ককে এক আলাদা মাত্রা দিয়েছে।
কিন্তু আম’রা ভুলে যাই যে এই পৃথিবী এত ভালো নয়। শুধুমাত্র সাদা দিয়ে একটা গোটা পৃথিবী তৈরি হলে অনেক নির্ঝঞ্ঝাট এবং শান্তি পূর্ণ হত। মানুষের মনের ভিতর বাস করে এক কালো সত্ত্বা। সে শুধু অন্ধকার চেনে। ভালো কি বস্তু সে জানে না একেবারেই। পাপের পথে যাওয়ার জন্য সে মাঝে মধ্যে লোকদের উস্কানি দেয়। আসল কথায় আসা যাক। আজকে যে গল্পটা আম’রা বলতে চলেছি সেটাও অনেকটা এইরকমই। যদিও এটা সত্যি ঘটনা তবুও শুনে অনেকে গল্প বলেই মনে করতেই পারেন।
বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শি’বগঞ্জ উপজে’লার ধাইনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবর আলি নামক এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রী’ সন্তানকে রেখে অন্তস্বত্তা পুত্রবধূকে নিয়ে পালিয়ে যান। খবরটা শুধু অ’বাক হওয়ার মতোই নয় রীতিমতো ভ’য়ঙ্কর। বাবর আলির ছে’লে ইউসুফ আলির সঙ্গে প্রয়াত জোবদুল হক জোবুর মে’য়ে সাথী খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় তিন বছর পর জানা যায় শ্বশুরের সাথে বউমা এক অন্য স’ম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। লোকজনদের কথা অনুযায়ী বিয়ের পর বউমা’র দিকে কুদৃষ্টি পড়ে শ্বশুরের। তারপরই তারা ঠিক করে একসাথে পালিয়ে যাওয়ার কথা।
তাদের এই পালিয়ে যাওয়ার কথা ছড়িয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায়। ইউপি চেয়ারম্যান তাবারিয়া চৌধুরী লোক পাঠিয়ে তাদের আ’ট’ক করেন। ধাইনগর ইউপি কার্যালয়ে একটি বৈঠক বসে এবং তাতে স্থির হয় যে বাবর আলি তার স্ত্রী’কে তালাক দেবেন এবং পুত্র ইউসুফ আলি নিজের স্ত্রী’কে। তালাকের পর শ্বশুর এবং পুত্রবধুর বিয়ে দেওয়া হবে। বর্তমানে এসব ঘটনার পর ইউসুফ তার মা কে নিয়ে মামা’র বাড়িতে থাকেন এবং বাবর আলি তার পুত্রবধু অথবা পরে হয়ে যাওয়া বধুকে নিয়ে থাকেন মহেশপুরে এক ভাড়াবাড়িতে। পৃথিবী কি অদ্ভুত। তাই না???