ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া তিন দিনের শিশুকে বাঁচাল এক কুকুর

কুকুর এমন এক পরোপকারী প্রাণী যে সমস্ত বিপদ তুচ্ছ করে অন্যের প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এমনই এক একটা ঘটনা আবারো সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসল।

মানুষ মানুষকে ঠকাতে পারে। খারাপ ব্যবহার করতে পারে। বিশ্বাসের জায়গায় আঘাত করতে পারে। কিন্তু কুকুরের বিশ্বাসের জায়গা করে নিতে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। মানুষের যদি কোন আপন বন্ধু বলে কেউ থাকে, তা হল এই অবলা প্রাণীটি। মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে তাঁর পোষ্য কুকুর, এমন খবর আমাদের জানা। কিন্তু এই ঘটনার খবর জানলে, আপনি আরও একবার কুকুরের ব্যাপারে ভাবতে শুরু করবেন।

ওমানের রাস্তায় খাবারের খোঁজে ডাস্টবিনের চারিদিক ধুরঘুর করছিল এই কুকুরটি। খাবারের খোঁজ করতে করতে হঠাৎ খুঁজে পায় ৩ দিনের এক সদ্যজাত শিশুর দেহ। কাটা ছিল না নাভির নাড়িও। প্রচন্ড ক্ষুধার্ত কুকুরটি শিশুর দেহটি দেখতে পেয়েই তড়িঘড়ি মুখে তুলে নেয়। মুখে তুলেই বুঝতে পারে, ব্যাপারটা সুবিধার নয়।

শিশুটির শ্বাস তখনও চলছিল, এই মনে করে শিশুটিকে মুখে তুলে নিয়ে একটি বাড়ির দরজার সামনে গিয়ে রাখে, এরপর খুব চিৎকার শুরু করে সে। কুকুরের চিৎকার শুনেই বাড়ির মালিক দরজা খুলতেই দেখে একটি সদ্যজাত শিশু শুয়ে রয়েছে।

মৃতপ্রায় শিশুটিকে পুণর্জন্ম দিয়ে ফের খাবারের খোঁজ শুরু করে দেয় ওই কুকুরটি। নিজে ক্ষুধার্ত হলেও, দুধের শিশুটির দেহে একটি দাঁতের কামড়ও বসায়নি সে। কুকুরের উদারপনা মানসিকতার পরিচয় বারে বারে পাওয়া যায়। এই ঘটনাটি ফের প্রমাণ করল, কুকুর মানুষের আসল ‘বন্ধু’।