ভারত-চীন যুদ্ধ বাধলে, ভারতের পক্ষে থাকবে কোন কোন দেশ?
সীমান্তে ভারত-চীনের মধ্যে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ থাকলেও ১৯৬২ সালের পর আর কখনও বড় ধরণের যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। গত সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীন এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে বিবাদ হয়, যেখানে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। তারপর থেকেই ভারত চীন সীমান্তের পরিস্থিতি উত্তপ্ত।
পরিস্থিতি ক্রমশ যেদিকে এগোচ্ছে তাতে যুদ্ধ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। ভারত চীনের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা? ভারত চীনের মধ্যে সামরিক দিক থেকে কে শক্তিশালী? ভারত চীনের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে বিশ্বের বড় দেশ গুলি করে পক্ষে থাকবে? উঠে আসছে এমন নানা প্রশ্ন। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যদি যুদ্ধ বাধে তাহলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রবল।
ভারত ও চীন বিগত কয়েক বছরে সীমান্ত এলাকায় প্রভূত উন্নতি ঘটিয়েছে। ভারতের দিক থেকে লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশ অন্যদিকে চীনের দিক থেকে তিব্বতে রাস্তা ঘাটের উন্নতি করা হয়েছে, বিমান ঘাঁটি বানানো হয়েছে, সামরিক অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। দুই দেশের তরফেই সীমান্তে সেনা বাড়ানো হয়েছে। এইসব পরিস্থিতি বিচার করে বিশেষজ্ঞদের ধারণা পরমাণু শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধার একটা সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আবার এও মত যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, দুই দেশের হাতেই পরমাণু অস্ত্র মজুত আছে। যুদ্ধের সময় যদি সেই অস্ত্র প্রয়োগ করা হয় তাহলে দুই দেশেরই প্রবল ক্ষতি হবে। তাই সবদিক বিবেচনা করে শান্তিপূর্ণ ভাবে সব কিছু মিটিয়ে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো উপায়।
কিন্তু যদি যুদ্ধ হয় তাহলে বিশ্বের বড় শক্তিধর দেশ গুলি কোন পক্ষে থাকবে? বর্তমানে ভারতের সাথে আমেরিকা, ইজরায়েল, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের সম্পর্ক খুবই ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে এই দেশগুলি তো ভারতের পক্ষেই থাকবে। অন্যদিকে রাশিয়ার সাথে ভারত, চীন দু দেশেরই ভালো সম্পর্ক। কিন্তু ১৯৬২ এর যুদ্ধে রাশিয়া ভারতকে সমর্থন করেছিল, তাই এবারেও যদি যুদ্ধ লাগে দুই দেশের তাহলে রাশিয়া ভারতকেই সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনের ক্ষেত্রে তারা একমাত্র পাশে পেতে পারে পাকিস্তানকে এবং সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত নিয়ে ভারতের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়া নেপালের। এখন দেখার পরমাণু শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে আদৌ যুদ্ধ বাধে কিনা।