Lifestyle: হানিমুনে গিয়ে ভুলেও করবেন না এই ৫ টি কাজ, এক রাতেই জন্ম নেবে দূরত্ব
জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির মধ্যে অন্যতম হল বিয়ে। এক একটি ঘটনাতেই বদলে যায় দুটি মানুষের জীবনের অর্ধেকাংশ। আর বিবাহ পরবর্তী পর্যায়ে ‘মধুচন্দ্রিমা’ হল জীবনের এমন কয়েকটি দিন, যে দিনগুলিতে ভূমিকা লেখা হয় একটি দাম্পত্য জীবনের। এই পর্যায়ে কিছু সমস্যা হলেই রং বদলে যায় বৈবাহিক জীবনের। তাই এই দিনগুলির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। একনজরে দেখে নিন হানিমুনে গিয়ে যে পাঁচটি কাজ করা উচিত নয়।
(১) একান্ত সময়: মধুচন্দ্রিমা মানেই হল একান্ত সময়ে দুটি মন ও দুটি শরীরের অবাধ মিলন। এভাবে সম্পর্কের সূচনা হলে নাকি বাকি জীবনটাও এমনই মধুর হয়। তাই মধুচন্দ্রিমায় অবশ্যই দু’জন যান। কাউকে সঙ্গে নিয়ে গেলে একান্ত সময়ে ব্যাঘাত ঘটবে। এটি পরবর্তী সময়ে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
(২) স্থান নির্বাচন: হানিমুনের মাধুর্য নির্ভর করে স্থানের উপর। স্থানভেদে মানসিক ও শারীরিক প্রস্ফুটন আলাদা আলাদা হয়। তাই হানিমুনের ক্ষেত্রে স্থান নির্বাচন করুন নিজেদের পছন্দমতো। তবে এই একান্ত সময় নির্বাহের জন্য সবথেকে উপযোগী হল ভিড়বিহীন কোনো ফাঁকা স্থান। তাই পাহাড় বা সমুদ্রের কোনো নির্জন বিচে যেতে পারেন। এতে গভীরতা বাড়বে সম্পর্কের।
(৩) অতীতের কথা না বলা: বিয়ে মানেই বর্তমান। দুটি হৃদয় অতীতকে ভুলে নতুনত্বের পথে পা বাড়ায়। তাই একে অপরের অতীতের প্রসঙ্গে কোনো কথা না তোলা ভালো। নাহলে মনের ভেতর সন্দেহ, অবিশ্বাস প্রভৃতির জন্ম হতে পারে। যা সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তুলতেও পারে।
(৪) জোর না করা: দাম্পত্য জীবনের সূচনা হয় হানিমুনের মধ্য দিয়েই। তাই এই কয়েকটা দিনে একে অপরকে কোনো বিষয়ে জোর না করা উচিত। সেটা শারীরিক সম্পর্ক হোক বা অন্য কোনো আবদার। খেয়াল রাখুন, আপনার আবদার যেন সম্পর্কের মাঝে ফাটল না তৈরি করে।
(৫) মোবাইল বেশি না ঘাঁটা: বর্তমান সময়ে মোবাইল আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী। তবে মধুচন্দ্রিমার কয়েকটি দিন মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এতে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো বেশি হবে। ফলে বৃদ্ধি পাবে সম্পর্কের গভীরতা।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য, সমীক্ষা ও অনুমানের উপর লিখিত।