Hoop StoryHoop TrendingHoop Viral

উদ্বোধন ঘিরে লাগামছাড়া উন্মাদনা, বিস্কুটের রামমন্দির বানিয়ে হইচই ফেললেন দূর্গাপুরের ছেলে

নতুন বছরে বিরাট উপহার দেশবাসীর জন্য। বহু প্রতীক্ষিত সুখবর পেতে চলেছে আপামর দেশবাসী। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই বিরাট কর্মকাণ্ড নিয়ে হইচই চলছে গোটা দেশে। ২২ জানুয়ারি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে রামলালার বিগ্রহের ছবিও। এবার বিস্কুট দিয়ে রাম মন্দিরের প্রতিরূপ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন দূর্গাপুরের বাসিন্দা।

ছোটন ঘোষ দূর্গাপুরের দুবচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। সম্প্রতি তাঁর বানানো শিল্পকীর্তি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেট মাধ্যমে। প্রায় ২০ কেজির বিস্কুট দিয়ে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদল তৈরি করেছেন তিনি। প্রায় ৪ ফুট উচ্চতার এই মন্দিরের প্রতিরূপটি তৈরি করতে বিস্কুট ছাড়াও তিনি ব্যবহার করেছেন প্লাইউড এবং থার্মোকল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ছোটন ঘোষের বানানো এই বিস্কুটের তৈরি রাম মন্দিরের ভিডিও। নেটিজেনরা ধন্য ধন্য করছেন তাঁকে।

মোট পাঁচ দিনে এই বিস্কুটের রাম মন্দির তৈরি করেছেন ছোটন। এটা অবশ্য তাঁর প্রথম শিল্পকর্ম নয়। এর আগে তিনি তৈরি করেছেন চন্দ্রযান, সৌরযানের প্রতিরূপ। শুধু তাই নয়, ব্যাটারি চালিত দশ আসনের বাইকও তৈরি করেছেন ছোটন ঘোষ। ফুল বিক্রির টাকা বাঁচিয়ে সেই টাকা দিয়েই এই সব শিল্পকর্ম বানিয়ে থাকেন ছোটন।

প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে গোটা দেশে উন্মাদনা রয়েছে চোখে পড়ার মতো। খ্যাতনামা ব্যক্তিদের কাছে গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র। আমজনতাও নানান ভাবে মন্দির উদ্বোধনের আনন্দ প্রকাশ করছেন। অনেকেই অনেক দূরদূরান্ত থেকে মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। কেউ পাঠাচ্ছেন সাত হাজার কেজির হালুয়া, কেউ আবার দিচ্ছেন ৫ হাজার হীরে জড়ানো নেকলেস। এছাড়াও উদ্বোধনের আগে মন্দির ট্রাস্টের কাছে যে সব উপহার পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ক্লক, আহমেদাবাদ থেকে প্রায় ৫ ফুটের অজয় বাণ, মা সীতার জন্মস্থান জনকপুর থেকে আসা ৩০০০ এর ও বেশি জিনিসপত্র, শ্রীলঙ্কার অশোক বাটিকার একটি শিলা এবং ১০৮ ফুট উচ্চতার ধূপকাঠি।

 

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই