ছবিতে থাকা ছোট্ট মেয়েটিকে চিনতে পারছেন! বর্তমানে তিনি নামজাদা এক টেলি-অভিনেত্রী
রকমারি খাবার খাওয়াদাওয়া, বিদেশ বিভুঁইয়ে ঘোরাফেরা এবং দুপুরের ভাতঘুম ছাড়াও বাঙালি আরেকটি অভ্যাসেও বেশ পটু। আর সেটি হল স্মৃতিচারণা। শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যেতে আমরা কমবেশি সকলেই ভালোবাসি। তবে শুধু নিজের স্মৃতি নয়, আমরা অন্যের স্মৃতিতে ভাসতেও ভালোবাসি। গ্রীষ্মের ঘুমভাঙ্গা ছুটির বিকে হোক বা ক্লান্ত রাত, গরম চায়ে হালকা চুমুক দিয়ে স্মৃতিচর্চার বিষয়টি বাঙালির কাছে নয়নাভিরাম। এককথায় এই কাজে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সবাই মোটামুটি এই অভ্যাসেই অভ্যস্ত।
শৈশবের কোনো এক ছবি হাতে নিয়ে সেই দিনে, সেই মুহূর্তে পৌঁছে যাওয়া যেমন আমাদের অভ্যেস, তেমনই আবার আমরা নিজের শৈশবের ছবি অন্যকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করতেও ভালোবাসি যে সে সেই ছবিকে দেখে চিনতে পারছে কিনা। আর এবার আপনার সামনে এমনই একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে এই প্রতিবেদনে। ঘাবড়ে যাবেন না। কারণ এই চ্যালেঞ্জ নিতান্ত কোনো কঠিন কাজ নয়। শুধুমাত্র এই প্রতিবেদনের শেষে আপনাকে চিনতে হবে কিছু ছবি। যে ছবি কোনো এক শিশুকন্যার। কিন্তু বর্তমান সময়ে সে নামজাদা এক অভিনেত্রী।
ছবিটি ইনস্টাগ্রামে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। এই ছবিটি যে অনেকদিনের পুরানো, তা ছবিটি দেখেই বোঝা যায়। পুরানো রিল ক্যামেরায় তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি বাচ্চা মেয়েকে। বয়স হবে ছয় থেকে আট বছরের মধ্যেই। এই ছবিতে ওই শিশুকন্যার পরণে রয়েছে সাদা ও নেভি ব্লু রংয়ের ফ্রক। হাতে হাতঘড়ি, মুখে লেগে মিষ্টি হাসি। এখনো চিনতে পারলেন না ছবিতে থাকা মানুষগুলিকে? তাহলে জেনে নিন।
এই ছবিটি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করেছেন টেলি অভিনেত্রী মানালী দে (Manali Dey)। ছবিটি গত ১১ ই জুন ইনস্টাগ্রামে পোস্ট কলরেন অভিনেত্রী। আর এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ভালোবাসার বন্যা বয়িয়ে দিয়েছেন তার ভক্তরা। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ‘কালী আমার মা’ ছবিতে প্রথমবার শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। তারপর অভিনয়ের প্রতি টান থেকেই ধারাবাহিক ‘নীড় ভাঙা ঝড়’-এ প্রথমবার তাকে টেলিভিশনে দেখা যায়। ইতিমধ্যে প্রচুর ছবি ও ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। তবে সম্প্রতি ‘ধুলোকণা’ ধারাবাহিকে ‘ফুলঝুরি’-র চরিত্র তাকে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা বয়ে আনে দিয়েছে।
View this post on Instagram