Khorkuto: ‘পটকা’ চরিত্র নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন অম্বরীশ
অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য (Ambarish Bhattacharya), এই মুহূর্তে টলিটাউনের সবচেয়ে সুযোগ্য অভিনেতা। যেকোন চরিত্রে অনায়াসেই খাপ খেয়ে যান অম্বরীশ অথবা বলা ভালো, খাপ খাইয়ে নেন। কিন্তু এখন তাঁকে ‘পটকা’ নামেই সবাই চেনেন। স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘খড়কুটো’-র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘পটকা’। পরিবারের কারও মন ভালো করতে পটকা সিদ্ধহস্ত। কিন্তু প্রয়োজনে উচিত কথা বলতেও ছাড়ে না সে।
পটকার চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে অম্বরীশ অনেক কিছুই শিখেছেন। তাঁর সহজাত প্রবণতা ছিল নো অ্যাক্টিং। কিন্তু ছোট পর্দায় এটা কার্যকরী নয়। এমনকি সব চরিত্রে নো অ্যাক্টিং মানানসই নয়। ‘পটকা’ চরিত্রটি ডাউন টু আর্থ, হ্যাপি গো লাকি ধরনের মানুষ। ফলে এই চরিত্রে নো অ্যাক্টিং-এর সুযোগ পেয়েছেন অম্বরীশ। তিনি অভিনয়ের সৌন্দর্যে বিশ্বাস করেন। কিন্তু এই চরিত্রে ধীরে ধীরে তাঁর অভিনয় যত বদলেছে, ততই বদলেছে ‘খড়কুটো’-র চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly-এর স্ক্রিপ্ট।
লীনার বরাবর কড়া নজর থাকে তাঁর চিত্রনাট্য অনুযায়ী অভিনয়ের দিকে। অভিনেতাকে মাথায় রেখেই স্ক্রিপ্ট ডেভলপ করেন তিনি। এই কারণে অভিনয় করতে গিয়ে চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান অভিনেতারা। অন্তত অম্বরীশ এই সুবিধা পেয়েছেন।
তবে ‘খড়কুটো’ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। অম্বরীশ বলেছেন, একটি সিরিয়াল নিয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক সবরকম মন্তব্য আসে। এই মুহূর্তে বাচ্চা সম্পর্কিত কাহিনী নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য এলেও বুঝতে হবে, সবাই সিরিয়ালের চরিত্রগুলিকে সত্যি ভাবেন। তবে ইতিবাচক মন্তব্যও আসে। অম্বরীশ মনে করেন, অভিনয় যাপন দিনের পর দিন মেগা সিরিয়ালেই হয় যেটা আগে হত না। শুধুমাত্র থিয়েটারের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এক-একটা নাটকের অভিনয় তিন-চারমাস ধরে করতেন। এখন ফিল্মের ওয়ার্কশপ হয়। কোনো দৃশ্য ফিল্মে না থাকলেও তা নিয়ে আলোচনা হয়। সিরিয়ালে এই অভিনয়ের প্র্যাকটিস অনেক বেশি হয়। প্রত্যেক দিন অভিনয় করতে করতে চরিত্রগুলি হাতের মুঠোয় চলে আসে।
‘খড়কুটো’-র পরিবারের অনস্ক্রিন বন্ডিং-এর সাথে অফস্ক্রিন বন্ডিং যথেষ্ট ভালো। অম্বরীশ জানালেন, সিরিয়ালে শুটিং করতে করতে ইচ্ছা না থাকলেও বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। কারণ সেই সময় বাড়ির লোকের তুলনায় সহকর্মীদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটে। ফলে সবাই আত্মীয়ের মতোই হয়ে যায়। আপাতত অম্বরীশ অভিনীত বেশ কয়েকটি ফিল্ম মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে যার মধ্যে আছে কৌশিক গাঙ্গুলী (Kaushik Ganguly) পরিচালিত ফিল্ম ‘লক্ষ্মী ছেলে’, ‘অর্ধাঙ্গিনী’, ‘কাবেরী অন্তর্ধান’। এছাড়াও রয়েছে অরিন্দম শীল (Arindam Shil) পরিচালিত ফিল্ম ‘মায়াকুমারী’। করোনার থার্ড ওয়েব সত্ত্বেও অম্বরীশ বড় পর্দা নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেছেন, ওয়েব ও বড় পর্দা, দুটোর ফরম্যাট আলাদা। ফিল্ম মূলতঃ বড় পর্দার জন্য তৈরি হয়। অতনু ঘোষ (Atanu Ghosh) পরিচালিত ফিল্ম ‘বিনি সুতো’-র প্রতিদিন হাউসফুল হওয়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি বললেন, বাঙালির সহজাত ইচ্ছা থাকে এন্টারটেইন্ড হওয়ার। ফলে ফিল্মের ভবিষ্যৎ ভালো বলে মনে করছেন অম্বরীশ।
View this post on Instagram