নব্বইয়ের দশক থেকে বলিউডে খান-দের রাজত্ব চলছে। সেই রাজত্বের মধ্যে যার প্রভাব সবথেকে আগে শুরু হয়েছিল সিনে-পর্দায়, তিনি হলেন আমির খান (Amir Khan)। শাহরুখ, সলমনের থেকে দুবছর আগে কেরিয়ার শুরু হয় এই অভিনেতার। আর শুরু থেকেই চমকপ্রদ পারফর্ম করেন আমির। তার অভিনীত ‘হিট’ ছবির তালিকাটাও বেশ লম্বা। ‘লাগান’, ‘সারফারোশ’, ‘রং দে বসন্তী’, ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘তারে জমিন পর’, ‘ধুম-৩’, ‘দঙ্গল’ প্রভৃতি ছবিতে নজর কেড়েছে তার অভিনয়। সম্প্রতি তার ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’-তেও অভিনয়ের সাবলীলতার জন্য নজর কেড়েছেন এই অভিনেতা।
তবে এই প্রতিবেদন তার ফিল্মি কেরিয়ার নিয়ে নয়, বরং তার কেরিয়ারের একটি ক্ষুদ্রাংশ নিয়েই। ‘রাজা হিন্দুস্তানী’ আমির খানের অভিনীত একটি রোমান্টিক ছবি। নব্বইয়ের দশকের ‘হিট’ ছবির তালিকায় এই নামটিও বেশ উল্লেখযোগ্য। এই ছবিতে তার সহ-অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন করিশ্মা কাপুর (Karishma Kapoor)। এক ট্যাক্সি ড্রাইভার, যার নাম রাজা, তার সাথে এক উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ের প্রেমের কাহিনী নিয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবি। নানা সামাজিক ও পরিবারিক লড়াইয়ের মাঝে তাদের রোম্যান্স বেশ নজর কেড়েছিল রুপোলি পর্দায়। আর এই রোমান্সের মাঝেই ঘটেছিল এমন এক ঘটনা, যা নিয়ে গসিপ চলে আজও।
‘রাজা হিন্দুস্তানী’ ছবিতে তেমন কোনো সাহসী দৃশ্য। ছিল না। তবে রোমান্টিক ছবিতে চুম্বনের দৃশ্য তখন সবে সবে জনপ্রিয়তা লাভ করছে দর্শকদের মধ্যে। তাই সেই ধারা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন ছবির পরিচালকও। এই ছবিতেও ছিল ঘনিষ্ঠ চুম্বনের একটি দৃশ্য। এই দৃশ্যে বৃষ্টির মধ্যে দুজন দুজনকে চুম্বন করেন আমির ও করিশ্মা। আর এই দৃশ্য শ্যুট করতে নাকি ৪৭ বার টেক নিতে হয়েছিল নির্মাতাদের। কারণ এই ছবির শুটিং হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের উটি’তে। সেই সময় সেখানে প্রবল শীত। আর সেই ঠান্ডায় বৃষ্টির মধ্যে চুম্বনের দৃশ্য শ্যুট করতে নাকি দুজনেই কাঁপছিলেন থরথর করে। অন্যদিকে এই দৃশ্যটিকে ‘পারফেক্ট’ করে তুলতে বদ্ধপরিকর ছিলেন পরিচালক।
প্রসঙ্গত, ‘রাজা হিন্দুস্তানী’ ধর্মেশ দর্শন পরিচালিত ১৯৯৬ সালের ভারতীয় রোমান্টিক নাট্য চলচ্চিত্র। ছবিটি কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন ধর্মেশ দর্শন ও জাভেদ সিদ্দিকী এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন রবিন ভাট। ১৯৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনী ১৯৬৫ সালের শশী কাপুর ও নন্দা অভিনীত চলচ্চিত্র ‘জব জব ফুল খিলে’র মত। আনুমানিক ৫৭.৫ মিলিয়ন বাজেটে নির্মিত চলচ্চিত্রটি ১৯৯৬ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র। এটি ১০টি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।