Hoop Story

Vacation: পাহাড়ি নদীর সঙ্গে জঙ্গলের রহস্য, ঘরের কাছেই এমন অফবিট জায়গার সন্ধান জানতেন!

পুজোর সময়ে কলকাতা ছেড়ে অনেকেই বাইরে যেতে চায় না। দুর্গাপুজো, দীপাবলির পরে তাই ঘুরতে যাওয়ার হিড়িক ওঠে অনেকেরই। আর ভ্যাকেশনের (Vacation) কথা উঠলে, পাহাড় বহুকাল ধরেই অধিকাংশ মানুষের পছন্দের তালিকার প্রথম দিকে জায়গা ধরে রেখেছে। কিন্তু পাহাড় বলতে সেই একই দার্জিলিং, কালিম্পং, সিমলা আর কতদিনই বা ভালো লাগে। উপরন্তু শহরের কোলাহল দূরে সরিয়ে রেখে পাহাড়ের হাতছানিতে মানুষ সাড়া দেয় কিছুদিন নীরবতার শান্তি উপভোগ করার জন্য। তাই এখন অফবিট জায়গায় আকর্ষণ বাড়ছে টুরিস্টদের মধ্যে।

সিকিমের বহু নাম না জানা জায়গা রয়েছে যেখানে টুরিস্টদের পা এখনো পড়েনি। অথচ সে সমস্ত জায়গায় প্রকৃতি ঢেলে দিয়েছে তার সম্পদ। এমনি একটি জায়গার সুলুক সন্ধান রইল এই প্রতিবেদনে। জায়গাটির নাম ‘যোগীঘাট’ (Jogighat)। পাহাড়ি রিয়াং নদীর পাশে সবুজ জঙ্গলের রোমাঞ্চ আর সারারাত স্রোতের শব্দ, পরিবেশটাই আলাদা, যার কল্পনা অন্তত এই ইঁট পাথরের শহরে বসে করা যাবে না।

সাড়ে তিন হাজার ফুট উচ্চতায় যোগীঘাট। শীতের পাশাপাশি গরমটাও এখানে খুবই উপভোগ্য। যোগীঘাটকে পরম মমতায় সাজিয়ে তুলেছে প্রকৃতি। এখান থেকে কাছেই বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা রয়েছে। যোগীঘাট থেকে নামথিং পোখরি ঘুরে আসা যায়, যাওয়া যায় কার্শিয়াং কিংবা মংপু। এছাড়াও পেয়ে যাবেন গাছ ভর্তি কমলালেবু। বাকি তথ্যগুলোও জেনে নিন এখানেই।

এখন প্রশ্ন হল, যাবেন কীভাবে আর থাকবেনই কোথায়? নিউ জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ি দু জায়গা থেকেই দুটি রাস্তা ধরে যাওয়া যায় যোগীঘাট। হয় রোহিনী রোড, কার্শিয়াং, দিলারাম হয়ে যেতে পারেন। নয়তো সেবক রোড, রম্ভি, মংপু, লাবদা হয়েও যেতে পারেন। যোগীঘাটে থাকার জন্য অনেক হোম স্টে পাওয়া যাবে, যেখানে জনপ্রতি ১২০০-১৫০০ টাকা দিয়ে থাকা খাওয়া সম্ভব। যদি অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী হন, তাহলে তারও রয়েছে ব্যবস্থা। অ্যাডভেঞ্চার, রহস্য প্রেমীদের জন্য রিয়াং নদীর পাশেও তাঁবু খাটিয়ে থাকা যায়।

Related Articles