“আগলে জনম মোহে বিটিয়া না কিজো’, নারীদের অধিকাংশের মনেই প্রায় এই কথা ধ্বনিত হয়। নারী পুরাকাল থেকেই সৌন্দর্যের নিরিখে পেয়েছে তার ‘সম্মান’ অথবা অসম্মান বলা চলে কি? নারীকে কেউ কোনোদিন জিজ্ঞাসা করেনি, সে কি চায়! সমাজ তার আকাঙ্খা, ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছে নারীর উপর। কখনও কোনো স্থূলকায়াকে কেউ জিজ্ঞাসা করেনি, তিনি কেন স্থূলকায়া? আদৌ তাঁর শারীরিক সুস্থতা কতটা? একই ভাবে মহিলাদের সামান্য গোঁফের রেখা অথবা শরীরে রোমের আধিক্য হয়ে উঠেছে সকলের বিরক্তির কারণ। কোনোদিন পরিবারের সদস্যরাও জানতে চান না, কোনো শারীরিক সমস্যার জন্য এমন হচ্ছে কিনা! এমনটা হয়েছিল অংশুলা কাপুর (Anshula Kapoor)-এর ক্ষেত্রেও। তাঁর পরিচয় ‘স্টারকিড’ হলেও নারী হওয়ার কারণেই তাঁকেও হতে হয়েছে বডি শেমিং-এর শিকার।
মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন অংশুলা। দশম শ্রেণীতে পড়াকালীন এই শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের পাশাপাশি মাসের বিশেষ দিনগুলি ছিল যন্ত্রণাদায়ক। মাসিকের যন্ত্রণা সহ্য করতে পারতেন অংশুলা। কিন্তু অসহ্য ছিল মানসিক যন্ত্রণা। ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’-এর ফলে অংশুলার মুখে দেখা দিয়েছিল অবাঞ্ছিত রোম।
মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে অংশুলাকে মুখের অবাঞ্ছিত রোম তুলতে ওয়্যাক্সিং করতে হয়েছিল। কিন্তু তা কখনও স্বাস্থ্যসম্মত ছিল না। এদিন ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে অংশুলা জানান, বড় হয়ে তিনি বুঝতে পারেন, সেদিন যা সমস্যা মনে হয়েছিল তা আসলে অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু নাইন্টিজ কিডজ-দের সময় তা নিয়ে কথা হওয়ার সুযোগ ছিল না। ফলে অংশুলা ভাবতেন, এই সমস্যা বোধ হয় শুধু তাঁরই।
ভিডিও শেয়ার করে অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন অংশুলা। তিনি বলেছেন, এবার এটি নিয়ে আলোচনা করা যাক। তাঁর বন্ধুরা তাঁকে জানাতে পারেন এই ধরনের সমস্যায় ভুগলে।
View this post on Instagram