মা, শব্দটির মধ্যে রয়েছে অপার স্নেহ, এক আকাশ ভালোবাসা। সন্তানদের জন্য যে কোনো সীমা অতিক্রম করতে সক্ষম মায়েরা। নিজেদের জন্য বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে সন্তানদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে মা। শুধুমাত্র গর্ভে সন্তান ধারণ করলেই মা হওয়া যায় না। মাতৃত্ব আসে অন্তর থেকে। তাই বহু নারীই নিজে সন্তান সুখ না পেয়েও হয়ে উঠেছেন প্রকৃত মা। টেলিভিশনে এর বড় উদাহরণ হলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। বাস্তব জীবনে মাতৃত্বের সুখ পাওয়া হয়নি তাঁর। কিন্তু বড়পর্দা, ছোটপর্দায় বারবার একজন মায়ের চরিত্র সফল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
সেই ২৩ বছর বয়স থেকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে আসছেন অপরাজিতা। মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে কোনো রিজার্ভেশন নেই তাঁর। তিনি শুধু ভালো অভিনয় করতে চান। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অপরাজিতা বলেন, ওই কম বয়সে যখন মায়ের চরিত্র করতে তিনি রাজি হয়েছিলেন তখন অনেকেই তাঁকে বারণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি শোনেননি। তাঁর মতে, সমাজে সবথেকে বড় হিরোর চরিত্র একজন মায়ের।
নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, হাসপাতালে মায়ের পেট থেকে ছিটকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁর নাম অপরাজিতা। তাঁর জন্মদাত্রী মা ছিলেন যেমন বিদূষী, তেমনি ব্যক্তিত্বময়ী নারী। নিজের শর্তে জীবন বাঁচতেন তিনি। অপরাজিতা বলেন, ‘চিনি’ ছবির মিষ্টি এবং ‘জল থই থই ভালোবাসা’র কোজাগরীর সঙ্গে তাঁর জন্মদাত্রী মায়ের অনেক মিল। বাস্তব জীবনে মা হতে পারেননি অপরাজিতা। কিন্তু তাঁর আক্ষেপ নেই কোনো। অভিনেত্রী বলেন, শুধুমাত্র সন্তানের জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না। তাঁরও এক মেয়ে আছে, যে তাঁকে মা বলে ডাকে। তাঁকে অনেকেই মা বলে ডাকে। মা ডাকের অভাব নেই তাঁর কাছে।
অপরাজিতা জানান, তাঁর এই মেয়ের নাম গার্গী। তাঁর যদি নিজের সন্তানও থাকত তাহলেও সে হয়তো গার্গীর মতো হতে পারত না। অভিনেত্রী জানান, তাঁর বাপের বাড়ির পাড়ার মেয়ে গার্গী। তাঁর নিজের বাবা মা সকলেই রয়েছেন। তবুও তিনি অপরাজিতা আর তাঁর স্বামীকে মা বাবা বলে ডাকেন। অপরাজিতার কাছে মাতৃত্ব এক উদযাপন। অনেক মেয়েদের যেমন বায়োলজিক্যাল সমস্যা থাকতে পারে। তাহলে কি তারা মা নয়? তেমন অনেক বাবাও ভালো মা হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন অপরাজিতা।
View this post on Instagram