করোনার সময়ে যে ইন্ডাস্ট্রি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেটা হল বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সমস্ত প্রেক্ষাগৃহ। শুটিং বন্ধ করে গৃহবন্দি হয়ে গিয়েছিলেন কলাকুশলীরা। কিন্তু ওই সময়েই সবথেকে বেশি বেড়েছিল বিনোদনের চাহিদা। ঘরবন্দি মানুষ হাঁপিয়ে উঠে খোঁজ করছিল বিনোদনের। খুঁজেও নিয়েছিল তারা। চিরাচরিত হিন্দি সিনেমার বদলে সে সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বিদেশি এবং দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার বিনোদন। এর মধ্যে অন্যতম ভোজপুরি কনটেন্ট (Bhojpuri Film)।
এমন নয় যে ভোজপুরি সিনেমা বা গানের চাহিদা আগে ছিল না। তবে কয়েক বছর ধরে আরো বেড়েছে ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয়তা। আঞ্চলিক ভাষার এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ইদানিং বলিউড এবং দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির মতো বড় সিনে ইন্ডাস্ট্রি গুলিকেও টেক্কা দেওয়ার জো করছে। বহু পুরনো ইন্ডাস্ট্রি হলেও নতুন করে আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভোজপুরি সিনেমা। দর্শকও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ইন্ডাস্ট্রির।
তবে ভোজপুরি ছবি, মিউজিক ভিডিও এখনো সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তাতেই সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। যদিও ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজন প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রী যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন ভোজপুরি সিনেমাকে আরো বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে। তাঁদের মধ্যে নিরাহুয়া ওরফে দীনেশ লাল যাদব, খেসারি লাল যাদব, প্রদীপ পাণ্ডে চিন্টু, অক্ষরা সিং, আম্রপালি দুবে, কাজল রাঘওয়ানিদের নাম না করলেই নয়। তবে আরো দুই অভিনেতা অভিনেত্রী খুব কম সময়ে দর্শকদের প্রিয় হয়ে উঠেছেন।
এঁরা হলেন অরবিন্দ অকেলা কাল্লু এবং যামিনী সিং। দুজনের জুটি ভোজপুরি কনটেন্টের দর্শকদের বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি এই নায়ক নায়িকার একটি পুরনো ভিডিও ফের চর্চায় উঠে এসেছে। ‘কদুয়া কে রস’ গানের সঙ্গে রোম্যান্টিক ভঙ্গিতে নাচতে দেখা গিয়েছে দুজনকে। ৪ বছর আগে ওয়ার্ল্ডওয়াইড রেকর্ডস ভোজপুরি ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করা হয়েছিল ভিডিওটি। এর মধ্যেই ৫৩ লক্ষ ভিউ হয়ে গিয়েছে এই মিউজিক ভিডিওতে।
