Ashmita Chakraborty: শৈশবেই বাবাকে হারিয়েছেন, গঞ্জনা শুনে বড় হতে হয়েছে পর্দার কলিকে
বিনোদন জগতের মানুষদের দেখলেই তাদের হাসিখুশিভরা মুখ আর আলোর দুনিয়ার পরিচয় মেলে সাধারণভাবে। কিন্তু তাদের জীবনটা অনেকটাই প্রদীপের মতো। উপরে আলো থাকলেও, নীচে থেকে যায় একটা অন্ধকার। যেগুলি খুব বেশি প্রচার বা প্রকাশ কোনোটাই পায়না। আর নিভৃতে সেই অন্ধকারঘেরা মুহূর্তগুলিকে বুকে নিয়েই অনায়াসে তারা সংলাপ আউড়ে যান ক্যামেরার সামনে। আজকের এই প্রতিবেদনে এমনই এক অভিনেত্রীর কষ্টের দিনগুলির কথা জানবো, যা পড়লে আপনার চোখ ভিজে যাবে মুহূর্তেই।
এই প্রতিবেদন জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খেলনা বাড়ি’র কলি ওরফে অস্মিতা চক্রবর্তীকে (Ashmita Chakraborty) নিয়ে। ধারাবাহিকের পর্দায় বেশ প্রাণোচ্ছল এই কলি। বাস্তব জীবনেও তেমনটাই। তবে দিনের আলোর গভীরে তারাদের লুকিয়ে থাকার মতোই লুকিয়ে রয়েছে তার সংগ্রামী শৈশব। সম্প্রতি রিয়েলিটি শো ‘দিদি নং-১’-এ এসে সেই মুহূর্তের কথা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রীর মা পম্পা চক্রবর্তী। তিনি জানান যে খুব ছোট বয়সেই বাবাকে হারায় অস্মিতা। কোনো রোগ বা অসুখের কারণে নয়, এক দুর্ঘটনা থেকেই আচমকা বদলে যায় তার শৈশব। বাবাকে হারিয়ে যেন একমুহূর্তের জন্য চারদিক অন্ধকার হয়ে যায় খুদে অস্মিতার। চারপাশটাও যেন বদলে যায় মুহূর্তেই। বদলে যান পরিবার, পাড়া পড়শীর মানুষজন।
সেই দিনগুলির কথা বলতে গিয়েই ভিজে যায় মা ও মেয়ের চোখ। তবুও মঞ্চে দাঁড়িয়ে অকপটে সবটা বলে যান অভিনেত্রীর মা। তিনি বলেন, “ওর তখন এক মাস বয়স, আমার স্বামী মারা যান। না, কোনও শরীর খারাপ হয়নি। একটি দুর্ঘটনায় অস্মিতা ওর বাবাকে হারায়”। বাবাকে হারিয়ে বাবার বাড়ি থেকেও বিতাড়িত হতে হয় তাকে। তাই মেয়েকে নিয়ে সেই সময় বাপের বাড়ি চলে আসেন অভিনেত্রীর মা। সেই থেকে শুরু হয় মা ও মেয়ের লড়াই। জানা গেছে, বাপের বাড়িতে এসেও খুব একটা সুখের জীবন হয়নি পম্পাদেবীর। সেখানেও তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। একপ্রকার সংগ্রাম করেই মেয়েকে বড় করে তুলেছেন বলে জানান তিনি।
তবে সেসব দিন আর নেই। এখন তাদের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। এখন মেয়ে সাবলীল হয়ে হল ধরেছে সংসারের, এমনটাই জানান তার মা। বর্তমানে ‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকে ডাঃ কথাকলি বসুর চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। ধারাবাহিকটিও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে দর্শকদের মধ্যে।
View this post on Instagram