Hoop Life

Astro Tips: দূর হবে অর্থকষ্ট, থাকবে পকেট ভর্তি টাকা! বাড়ির পাশে লাগান এই ফুলের গাছ

ভারতের প্রাচীনতম শাস্ত্রের মধ্যে অন্যতম হল জ্যোতিষশাস্ত্র। বহুকাল ধরে জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর বজায় রয়েছে মানুষের বিশ্বাস। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে রাশিফল গণনা করা হয় চন্দ্রের অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্রের অবস্থানের গণনা করে রাশিফল তৈরি করা হয়। আর এই রাশিফলের প্রভাবের উপর অনেকেই বিশ্বাস করে চলেন। জন্মদিন, জন্মস্থান ও জন্মের সময় অনুসারে বোঝা যায় একজন ব্যক্তি কোন রাশির জাতক বা জাতিকা। সেই কারণে প্রতিটি সময়ে প্রতিটি মানুষের উপর গ্রহ ও নক্ষত্রের প্রভাব আলাদা হয়।

তবে অনেক সময় অনেক মানুষের জীবনের উপর পড়ে নানা গ্রহের কু-প্রভাব। এর ফলে তাদের জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ যাতনা। গ্রহের প্রভাবে অর্থকষ্ট পৌঁছায় চরমে। সেই সঙ্গে সেই বাড়ির উপর দেবী লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হলে তো সেই বাড়ির সদস্যদের অর্থাভাব দূর হকতেই চায় না। আর এমন দুর্ভোগে আজকাল সকলেই পড়ে থাকেন। কিন্তু এমন অবস্থায় অনেকেই সমস্যা নিবারণের উপায় খুঁজে পান না। তাই হতাশ হয়ে জীবন অতিবাহিত করা ছাড়া তাদের কাছে আর উপায় থাকে না। তবে এই নিবন্ধে এই সকল মানুষের জন্য রইল একটি দারুন উপায়ের সন্ধান।

বাড়িতে গাছ লাগানোর চল আজকাল গ্রাম থেকে মফঃস্বল এমনকি শহরেও দেখা যায়। যাদের বাগান তৈরির জায়গা থাকে না, তারা বাড়ির ছাদে বা ব্যালকনিতেও নানা গাছ লাগিয়ে থাকেন। আর এই গাছ লাগানোর অভ্যাস থেকেই খুলে যেতে পারে ভাগ্যের দরজা। আর এমন ম্যাজিক্যাল ফলাফল দিতে পারে করবী ফুলের গাছ। এই ফুলের গাছ গ্রামেগঞ্জে অনেক দেখা যায়। মূলত তিন ধরনের করবী ফুলের গাছ হয়। লাল, সাদা ও হলুদ করবী ফুলের গাছ পাওয়া যায়। আর এই গাছ থেকেই বদলে যেতে পারে ভাগ্যের রূপরেখা।

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, করবী ফুল হল বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয় ফুল। তাই এই ফুলের গাছ বাড়িতে থাকলেই ভগবান বিষ্ণুর কৃপালাভ হয়। একইসঙ্গে করবী ফুলকে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবেও গণ্য করা হয়। সেই কারণেই বাড়ির বাগানে এই ফুলের গাছ থাকলে সেই বাড়ির উপর প্রসন্ন হন দেবী লক্ষ্মী। একইসঙ্গে করবী ফুলের সাতটি পাপড়ি যদি কর্পূর দিয়ে সন্ধ্যাকালে পুড়িয়ে ফেলা যায়, তাহলে সেই বাড়ি থেকে অর্থাভাব দূর হয়। একইসঙ্গে করবী ফুলের গাছের গোড়ায় নিয়মিত জল দিলে মঙ্গল গ্রহের দোষ কেটে যেতে পারে।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। কোনরূপ অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের অভিপ্রায় নয়।

Related Articles