টলিউডে সুপারস্টার অভিনেতা বলতে এখন সর্বাগ্রেই নাম আসবে দেবের (Dev)। একের পর এক সিনেমার ঘোষণা যেমন করছেন তিনি, তেমনি প্রায় প্রতিটি ছবিই হিটও হচ্ছে বক্স অফিসে। বিগত বেশ কয়েকটি ছবিতে টেলিভিশনের নায়িকাদেরও সুযোগ দিয়েছেন দেব। ‘প্রজাপতি’তে শ্বেতা ভট্টাচার্যের পর ‘প্রধান’এ সৌমিতৃষা কুণ্ডুকে (Soumitrisha Kundu) দেখা গিয়েছে তাঁর নায়িকার ভূমিকায়। তার আগেও তাঁর কয়েকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে টেলিভিশনের অভিনেত্রীদের। এবার এই টেলি তারকাদের সম্পর্কে মুখ খুললেন প্রযোজক অতনু এবং পরিচালক অভিজিৎ।
এই পরিচালক প্রযোজক জুটির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরপর বেশ কিছু সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন দেব। বড়পর্দায় নিয়ে এসেছেন ছোটপর্দার নায়িকাদের। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? প্রধান, প্রজাপতি, টনিক ছবিতে টিভির জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা। তবে অতনু বলেন, মেয়েগুলি ভালো অভিনেত্রী, দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়ও বটে। কিন্তু সমস্যা একটাই, তাঁদের মধ্যে ডেডিকেশন বিষয়টি কম। একটি সিনেমা করেই ভাবে যে সুপারস্টার হয়ে যাবে। কিন্তু টলিউডে লড়াই অনেক বেশি।
দেবের অবশ্য ভূয়সী প্রশংসা করেন অতনু অভিজিৎ। দরাজ হাতে দেবের প্রশংসা করে তাঁদের মত, সমসাময়িক অভিনেতারা নিজেদের কাজের ধরণ পরিবর্তন করতে পারেননি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। সেই কারণেই বক্স অফিসে আয়ের ক্ষেত্রে দেব বাকিদের থেকে এগিয়ে গিয়েছেন। অতনু স্পষ্টই বলেন, জিৎ, অঙ্কুশ আগের খ্যাতি ধরে রাখতে পারেননি। দেবই এখন টলিউডের একমাত্র সুপারস্টার।
প্রসঙ্গত, টেলি পাড়ায় বেশ কয়েক বছর থাকলেও সৌমিতৃষাকে কাঙ্ক্ষিত জনপ্রিয়তা এনে দেয় জি বাংলার ‘মিঠাই’। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই গোটা বাংলা তো বটেই, জাতীয় স্তরের দর্শকদের কাছেও পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। অনুরাগীরাও ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছিলেন সৌমিতৃষাকে। কিন্তু তাঁর প্রথম ছবি মুক্তির আগেই কাটে তাল। ছোটপর্দার বন্ধুদের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে তাঁর। এমনকি অনেকেই দাবি করেছিলেন, সৌমিতৃষার অহংকার বেড়েছে। তবে আগামীতে ছোটপর্দার বদলে সিনেমাতেই কেরিয়ার গড়ার কথা ভাবছেন সৌমিতৃষা। যদিও এখন কোনো নতুন প্রোজেক্টের ঘোষণা করেননি তিনি।
View this post on Instagram