Mithai: জাতীয় সংগীত চলাকালীন চরম ভুল! সমালোচনার মুখে ধারাবাহিক ‘মিঠাই’
একের পর এক বাঁধা পেরিয়ে স্বপ্নপূরণের চাবিকাঠি খুঁজে পেয়েছে মোদক পরিবার। টানা প্রায় ৩৬ সপ্তাহ ধরে টিআরপির সর্বশিখরে উঠে বসে আছে জি বাংলার জনপ্রিয় ‘মিঠাই’। একের পর এক নতুন নতুন রোমাঞ্চকর চমক,মজা ও খুনসুটিতে ভরা এই ধারাবাহিক রাত আটটা বাজলেই বাংলার ড্রইংরুমে জায়গা করে নেয়। শুধু তাই নয় পড়শী দেশ বাংলাদেশকেও জমিয়ে রেখেছে এই মিষ্টি ধারাবাহিক।
দাদাইয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। দাদাই পেয়েছেন পুরস্কার। একরোখা মিঠাই সাথে সিদ্ধার্থের চেষ্টায় উদ্বোধন হয়েছে মিষ্টি হাব। দুজনের মধ্যে একটু একটু বাড়তে থাকা ভালোবাসা হল্লা পার্টির চোখে পড়তে থাকে। মোদক পরিবারের খুশি দেখে দর্শকও বেজায় খুশি। সিদ্ধার্থ মোদকের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে টান টান উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। ওমি হাজির হয়ে ঝামেলা শুরু করে সিদ-এর সাথে। এইসব নিয়ে মেতে থাকা দর্শকের হঠাৎ নজর পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সেখানে উদ্বোধনী হিসাবে রবীন্দ্র সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি উপস্থাপন করা হয়।
‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি হলো বাংলাদেশি জাতীয় সংগীত। এখানেই ঘটল বিপত্তি। ড্রয়িংরুমে বসে থাকা দর্শকের চোখে পড়ে গানটি পরিবেশনের সময় সকলেই দর্শকাসন ভরিয়ে বসে রয়েছেন। মিঠাইরানি অবশ্য একপাশে চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল। পড়শী দেশের প্রশ্ন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাইবার সময় অধিকাংশ মানুষ কেন পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকবে? যেখানে ভারতের জাতীয় সংগীতের সময় দিব্বি সবাই দাঁড়ায়। নূন্যতম সম্মানটাও কি দেখাবে না প্রতিবেশি জাতীয় সংগীতকে? ব্যাপারটা এমনি জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কেউ কেউ তো আবার এই সিরিয়াল বয়কটেরও ডাক দিয়ে বসেছেন।
নেটিজেনদের ভাষায়, ‘যেহেতু ওটা রবীন্দ্র সংগীত, উদ্বোধনী হতেই পারে। তাই বলে এই নয় যে এটা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তা জানা সত্ত্বেও সম্মান না করে বসেই থাকবেন। আমরা সাধারণ মানুষ এত বুঝিনা। ভারতের অনুরাগি বন্ধুরা নিশ্চয়ই বুঝিয়ে বলবেন। আর এই গানটিই বা কেন গাওয়া হলো এত রবীন্দ্র সংগীত থাকতে। বাংলাদেশকে অপমান করেছে মিঠাই।’ আবার ওই বাংলাদেশি ভক্তদের মধ্যে অনেকেই পাশে দাঁড়িয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ-এর। বঙ্গভঙ্গ-এর পরিপ্রেক্ষিতে রচিত এই রবীন্দ্রনাথে গানটির প্রথম ১০ চরণই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসাবে স্বীকৃত। আর ‘মিঠাই’তে কেবল রবীন্দ্র সংগীত হিসাবে শোভা পেয়েছে এই গান এবং দর্শকদের মধ্যেও সবাই অ-বাংলাদেশি। অর্থাৎ এই বিষয়টি নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করাটা অযৌক্তিক বটে।