LPG Biometric: আঙুলের ছাপ না মিললেই দেওয়া হবে না রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, সমস্যায় পড়বেন ১০ কোটি মহিলা
রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি সোজা ঢুকে যায় গ্রাহকের প্রদত্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কিন্তু এবার থেকে আর ঢুকবে না ভর্তুকির টাকা। এবার থেকে একটি বিশেষ কাজ না করতে পারলে কিন্তু বন্ধ হয়ে যাবে এই সরকারি পরিষেবা। আর তার জন্য ডেডলাইন রাখা হয়েছে ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখটিকে। এই তারিখের আগেই এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিন্তু আৰ এলপিজি গ্রাহকদের করিয়ে ফেলতে হবে। নাহলেই চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে ভর্তুকির টাকা ঢোকা। কিন্তু কি এই কাজ? কিভাবেই বা করতে হবে কাজটি? দেখে নিন।
এখন সমস্ত সরকারি পরিষেবার যেকোনো ধরণের কারচুপি রুখতে বায়োমেট্রিক আপডেট করা বাধ্যতামূলক হয়েছে। আর আমাদের আধার কার্ড যেহেতু বায়োমেট্রিক দ্বারা তৈরি হয়, তাই একইসঙ্গে আধার আপডেট হয়ে যায় এই কাজের সঙ্গেই। আর এবার এলপিজি কানেকশনের সঙ্গেই বায়োমেট্রিক আপডেট করুন বাধ্যতামূলক করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে এখনো সরকারের তরফে কোনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে যেমনটা জানা গেছে, তাতে করে আগে উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্গত ১০ কোটি মহিলা গ্রাহকদের এই কাজটি করতে হবে। তারপর অন্যান্য গ্রাহকদের জন্য এই কাজটি করতে হবে।
আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ডেডলাইন হিসেবে ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখকেই ঠিক করা হয়েছে। তবে এর জন্য কিন্তু গ্যাস অফিসে লম্বা লাইন দিতে হবেনা। বরং ঘরে বসে বসেই এই কাজটি করতে পারবেন গ্রাহকরা। কারণ এই কাজের দায়িত্ব থাকবে সিলিন্ডার ডেলিভারি ম্যানদের উপর। তাদের মোবাইলে একটি এপ্লিকেশন ও একটি স্ক্যানার মেশিন দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে সহজেই কাজটি করা যাবে। এর ফলে রান্নার গ্যাস নিয়ে কারচুপি রুখে দেওয়া যাবে বলে মনে করছে সরকার।
অর্থাৎ, এতদিন অবধি রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে কিংবা এলপিজি কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বুকিং করলেই বাড়িতে এসে গ্যাস দিয়ে যেতেন ডেলিভারি ম্যানরা। বাড়িতে যে কেউ থাকলেও টাকা দিয়ে সেই সিলিন্ডার নিয়ে নিতে পারতেন। তবে এবার থেকে তেমনটা হবেনা। কারণ এবার থেকে বাড়িতে গ্যাস ডেলিভারি করার আগের কনজিউমারের বায়োমেট্রিক মিলিয়ে তবেই দেওয়া হবে গ্যাসের সিলিন্ডার। এর প্রভাবে রান্নার গ্যাস বিলির সিস্টেমে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।