শুধুমাত্র ফুলকপি চাষ করেই যেভাবে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন
ফুলকপি একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু সবজি। ঠান্ডা আবহাওয়াতে ফুলকপির ভালো ফলন হয়। তবে উচ্চ জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা যুক্ত মাটিতে ফুলকপির চাষ করা দরকার। মোটামুটি আমাদের দেশের আবহাওয়ায় মাঘি, অগ্রহায়ণী, পৌষালী প্রভৃতি জাতের ফুলকপি পাওয়া যায়।
ফুলকপি চাষ করে ভালো উপার্জন করার জন্য ফুলকপি বপন করার উপযুক্ত সময় আগস্ট সেপ্টেম্বর। বীজ তৈরি করার জন্য মাটিতে ১৫ সেন্টিমিটার অঞ্চলের তৈরি করতে পারলে ভালো হয়। অবশ্যই বীজ পোঁতার সময় খেয়াল রাখতে হবে দুটি গাছের মধ্যে যেন কম করে ১৫ ইঞ্চি দূরত্ব থাকে।
আর একটি সারি থেকে অন্য সারির মাঝে দূরত্ব রাখতে হবে ২ ফুটের মতো। মাটি তৈরি করার জন্য গোবর সার এবং দোআঁশ মাটি মিশ্রণে এর সঙ্গে নিম খোল, হাড় গুঁড়ো মিশিয়ে মাটি তৈরি করে তার উপরে পলিথিন দিয়ে মাটি ঢেকে রাখতে হবে। অতিবৃষ্টি এবং রোদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বীজ দেওয়ার পরও উপরে হালকা ঢাকা দিলে ভালো হয়। চারা বেড়ে ওঠার জন্য ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ দিন পরেই বীজ থেকে চারা বের হতে শুরু করবে। জমির জল শুকিয়ে গেলে জমিতে উপযুক্ত জল সেচ দিতে হবে।
তবে সার দেওয়ার আগে মাটি ভালো করে নিড়ানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ফুলকপির ফুলকে যদি সাদা রাখতে চান তাহলে অবশ্যই পাতাগুলি চারদিক থেকে বেঁধে দিন। অতিরিক্ত সূর্যের আলো পড়লে ফুল হলুদাভ হয়ে যাবে। চারা রোপণ এর ৮০ দিনের মাথায় ফসল সংগ্রহ করার উপযুক্ত হয়ে যায়। এইভাবে নিয়ম মেনে চাষ করতে পারলে বিঘা প্রতি তিন টন ফুলকপি পাওয়া সত্যিই কোনো ব্যাপার নয়।