আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই সাইক্লোনে পরিণত হবে ‘শাহিন’, হতে পারে আবহাওয়ার চরম অবনতি
ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এর পর আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে, সম্প্রতি এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছিল মৌসম ভবন। ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এর লেজ থেকেই জন্ম নিতে পারে সাইক্লোন ‘শাহিন’ এমনটাই জানা গিয়েছিল। একটি ঘূর্ণিঝড়ের লেজ থেকে শক্তি বাড়িয়ে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার ঘটনা অতি বিরল। ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এর লেজ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘শাহিন’-এর জেরে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে।
দেশের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে আবহাওয়া ফের অবনতি হবে, সেই সম্ভাবনাই তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে শুক্রবার আরব সাগরের উপর তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শাহিন’। এর জেরে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সাইক্লোনের প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হবে এবং এর সঙ্গে চলবে ভীষণ ঝোড়ো হাওয়া।
ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এর অবশিষ্টাংশ এখন অবস্থান করছে উত্তর-মধ্য মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশের উপরিভাগে। এরপর এই ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে, এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। এর জেরে আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের উপরে তৈরি হতে পারে গভীর নিম্নচাপ। এটিই পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরপর এই সাইক্লোন ভারতীয় উপকূল পরিত্যাগ করে ধীরে ধীরে পাকিস্তানের মাকরান উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে।
আইএমডি -এর সাইক্লোন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুনীতা দেবী বলেছেন, এই সাইক্লোনের ল্যান্ডফল ভারতীয় উপকূলে হবে না। তবে এই সাইক্লোনের জেরে গুজরাট ও কচ্ছের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই যারা গভীর সমুদ্র পাড়ি দিয়েছেন তাদের বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।