জীবন যত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে, তত বাড়ছে প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে মানুষের মনে দেখা দিচ্ছে মানসিক অবসাদ যার ইংরাজি নাম ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন। মানসিক অবসাদের কোনো বয়স হয় না। যেকোন বয়সে তা দেখা দিতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে রোগী আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন। দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) বলিউডের অন্যতম সফল নায়িকাদের মধ্যে একজন হলেও একসময় তিনিও মানসিক অবসাদের সম্মুখীন হয়েছিলেন।
একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে দেখতেই মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলেন তিনি। প্রতিদিন সকালে উঠে তাঁর মনে হত, কোনো অনুপ্রেরণা নেই, জীবনে কোনও গোল নেই। দিন শুরু করার ইচ্ছা মন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল। একের পর এক ফিল্ম সফল হলেও কোথাও একটা অভাব অনুভব করছিলেন দীপিকা। সেই সময় তাঁর সাথে রণবীর সিং (Ranveer Singh)-এর সম্পর্কের সূত্রপাত হয়েছে। সবাই ভাবতেন, দীপিকার জীবন পিকচার পারফেক্ট। কিন্তু দীপিকা জানতেন, তাঁর জীবনের সত্যিটা। সেই কঠিন সময়ে দীপিকার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মা।
দীপিকার মা তাঁর মানসিক পরিস্থিতির কথা বুঝতে পেরেছিলেন। তিনিই তাঁদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ মনোবিদের সাথে যোগাযোগ করেন। ওই মনোবিদ দীপিকাকে পরীক্ষা করে তৎক্ষণাৎ কিছু ওষুধ লিখে দেন। পাশাপাশি শুরু হয় দীপিকার কাউন্সেলিং। সময় লাগলেও সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন দীপিকা। পরবর্তীকালে দীপিকা একটি সংস্থা তৈরি করেছেন যেখানে মানসিক অবসাদগ্রস্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-তে এসে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)-এর সামনে নিজের কঠিন দিনগুলির কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছিলেন দীপিকা।
বর্তমানে আবারও ছন্দে ফিরেছেন দীপিকা। 2023 সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাবে দীপিকার আগামী ফিল্ম ‘পাঠান’। এছাড়াও হলিউড ফিল্ম ‘অন দ্য ক্রস’-এ অভিনয় করছেন তিনি।
View this post on Instagram