7th Pay Commission: হাইকোর্টের বড় ঘোষণা, বাড়তে চলেছে স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন
ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রাজ্য সরকারের অধীনস্থ নানা বিভাগে লক্ষ লক্ষ কর্মচারী কাজ করেন। আর রাজ্য সরকারের বেতন কমিশন সরকারের সমস্ত দফতরের কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করে। এই কাজটি সমসাময়িক আয় ও ব্যয়ের হিসেব করেই নির্ধারণ করে বেতন কমিশন। তাই এই বেতন কমিশন প্রতি দশ বছর অন্তর বদলানো হয় কেন্দ্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে। মূলত এটি কেন্দ্রের নিয়ম হলেও অনেক রাজ্য সরকার এখন কেন্দ্রকে এই বিষয়ে অনুসরণ করে চলে। তাই কেন্দ্রের মতো রাজ্যেও পে কমিশন অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয় কর্মচারীদের বেতন।
সম্প্রতি, রাজ্য সরকারের নানা দফতরের কর্মীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করেছে একাধিক রাজ্য সরকার। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, চন্ডীগড়, কর্ণাটক, আসাম, মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের সরকার তাদের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ৪% বাড়িয়েছে। এর মধ্যে অনেক রাজ্য সরকারি কর্মীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় এই বিশেষ ভাতা পাচ্ছেন। উৎসবের মরশুমে এই ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে বেশিরভাগ রাজ্য সরকার। তাই দীপাবলির আগে ও পরে দেশের নানা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মুখে যে চওড়া হাসি ফুটেছে, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
তবে এবার দিল্লি রাজ্যের স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যেও আনন্দের জোয়ার বইতে চলেছে। কারণ সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট এই বিষয়ে একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। এই বিয়ে দিল্লি উচ্চ ন্যায়ালয় ঘোষণা করেছে যে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দিল্লির বিভিন্ন বেসরকারি এবং অনুদান না পাওয়া সংখ্যালঘু স্কুলের কর্মচারীদের বেতন, অবসরের পরবর্তীতে সুযোগ-সুবিধা, এরিয়ার প্রদানের বিয়ে দেখভাল করার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করতে হবে। কারণ দিল্লি হাইকোর্ট মনে করে যে কমিশনের সুপারিশ মেনে ওইসব স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা এইসব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।
এই বিষয়ে গত শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট এই নির্দেশিকা জারি করেছে। ১৩৬ পৃষ্ঠার এই নির্দেশিকা রায়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি চন্দ্রধারী সিং জানিয়েছেন যে এমনটা করতে গিয়ে যদি কোনও স্কুলের লোকসান হয় এবং নিজেদের কর্মচারীদের বেতন প্রদানের আর্থিক সামর্থ্য না থাকে, তা মোটেও বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কর্মচারীদের বেতন এবং অন্যান্য ভাতা প্রদানের দায় থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুলকে মুক্ত করে না। অর্থাৎ কোনরূপ আর্থিক বিষয়কে মান্যতা দেওয়া হবেনা।