Devlina Kumar: নিজের বিয়েতে নিজেই ঢুকতে পারেননি প্রথমে, ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে মুখ খুললেন দেবলীনা কুমার
বিয়ে নিয়ে মেয়েদের স্বপ্ন থাকে রূপকথার গল্পের মতো। ছোটবেলায় রাজকুমারীর বিয়ের গল্প পড়তে গিয়ে কখন যে নিজের বিয়েকেও রূপকথার পর্যায়ে স্থান দিয়ে ফেলেন বোঝাই দায়। ২০২০ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও বিন্দাস গার্ল দেবলীনা কুমার। এই বিয়ে নিয়ে তাঁরও স্বপ্ন ছিল রূপকথার মতোই। তবে তা ঘোড়ার বদলে চার চাকায় চড়ে। অত্যাধুনিক রূপকথা তো। সেই স্বপ্নপূরণেই ঘটে বিপত্তি। নিজের বিয়েতে নিজেই ঢুকতে পারেননি প্রথমে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি ঘটেছিল সেই দিন।
অতিসম্প্রতি দাদাগিরির মঞ্চে নিজের বিয়ের মজার অভিজ্ঞতা ফাঁস করলেন দেবাশিস কুমার কন্যা নিজেই। প্রসঙ্গত, উত্তম কুমারের বংশে বিয়ের মরসুম। মুখ্যমন্ত্রী যে আসবেন এটাই স্বাভাবিক। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার সময় পুলিশ যে চারিদিকে ছেয়ে থাকবেই। আর কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তো ঢুকতে বাঁধা দেবেই। আর দেবলীনা গাড়ি চালিয়ে পালকির কাছে পৌঁছতে যেতেই পুলিশ আটকায় তাঁকে। ছোটখাটো বচসাও হয়। রীতিমত আঙ্গুল নেড়ে পুলিশকে রাগ দেখিয়েছিলেন তিনি। দাদাগিরির মঞ্চে দেখানো একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে কনের সাজে গাড়ির স্ট্রিয়ারিং হাতে বিয়ের মঞ্চের দিকে চলেছেন দেবলীনা।
বলা বাহুল্য, আসলে বিয়ের কনে গাড়ি চালিয়ে বিয়ে করতে আসতে পারে এটি পুলিশের ধারণারই বাইরে ছিল। তাই আটকে ছিল তাঁকে। আর নিজের বিয়েতে নিজেই ঢুকতে না পারলে রাগ তো হবেই। ২০২০ সালে এই ভিডিও বেশ ভাইড়ালও হয়েছিল। দেবলীনা জানান, “আমি খুব লাজুক কম। মানে আমার বিয়ের সব ছবিগুলোতেই”- এই বলে দাঁত বার করে ইঙ্গিতে করেন তিনি। সাথে এও বলেন “ উদ্ভট পোজে সব ছবি, একটাও লজ্জা পাওয়া ছবি নেই”। পাশ থেকে রিমঝিম বলে উঠেন উলটে, ‘ছবিতে বরং গৌরবের মুখ গুলো দেখলে মনে হয় একটু লজ্জা পাচ্ছে’। এরই সাথে বিন্দাস দেবলীনা দিব্যি হাসতে বলে বসেন, ‘আমি গাড়ি থেকে ঢুকে তারপর পালকিতে বসে তারপর বিয়ে করতে চলে গেছি’।
দেবলীনার বয়স তখন ৯-১০ বছর হবে। গোলুমলু চেহারার ছিলেন। লন্ডনে মাসির বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন পোসে তোলা কয়েকটি ছবিও এদিন দেখানো হয় দাদাগিরির মঞ্চে। বেশ মজাদার ছবিগুলি। হাসতে হাসতে দেবলীনা জানান, দ্বাদশ শ্রেণির পড়া শেষ করে ফিটনেস বিষয়টি মাথাচাড়া দিতে ওঠে তাঁর। যাত্রা শুরু হয় দেবলীনার গোলুমলু থেকে মডেল হওয়ার। বাবা-মায়ের কথামত পড়াশোনাও ছাড়েননি তিনি। তিনি এদিন জানালেন, ভোর ভোর প্রায় ৬ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে নেন। এমনকি ভোর ৪-৫টায় ওঠা তাঁর বহুদিনের অভ্যাস। ডায়েট করতে পারেন না বলেই জিম করেন তিনি। ভবিষ্যতে একই জিম সেন্টার খোলারও নাকি পরিকল্পনা করে রেখেছেন দেবলীনা কুমার।