ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর পরিবারে এলো নতুন সদস্য, খুশির হাওয়া তারকার পরিবারে
অহনা দেওল ধর্মেন্দ্র ও হেমামালিনীর দ্বিতীয় সন্তান। এই স্টারকিড মায়ের মতো নাচের ক্ষেত্রে বেশ পারদর্শী। এই স্টারকিড তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য, চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের কাজে যুক্ত হন। ২০১০ সালে সঞ্চয় লীলা বনসালীর পরিচালনায় সুপারস্টার ঋত্বিক রোশন এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন অভিনীত গুজারিশ চলচ্চিত্রে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করেন অহনা দেওল। অবশ্য এর আগে ২০০২ সালে “না তুম জানো হাম না হাম” সিনেমায় ডেবিউ করেন বলিউডে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এই সিনেমা বক্স-অফিসে হিট করেনি। তারপর তিনি আরো একটি সিনেমা ২০১২ সালে “রোমিও জুলিয়েট” অভিনয় করেন। সেটিও হিট হয়নি।
অহনা ২০১৪ সালে ২ ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির এক ব্যবসায়ী বৈভব বহরাকে প্রেম করে বিয়ে করেন। তারপর বলিউডকে বিদায় জানান। দিদি মায়ের মতো অভিনয় করলেও সেরকম নাম না করায় আর সিনেমা করেননি। তিনি ক্লাসিকাল ডান্স আর সংসার সামলাতে ব্যস্ত। ২০১৫ সালে অহনার কোল আলো করে আসে পুত্র ডারিন বোহরা৷ এই নিয়ে চলছিল বেশ।
ফের এই দেওল বাড়িতে এল সুখবর। যমজ সন্তানের মা হলেন ধর্মেন্দ্র-হেমা কন্যা অহনা দেওল। বৃহস্পতিবারই দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন অহনা। নিজের ইনস্টাগ্রামে শুক্রবার সকলের সঙ্গে এই সুখবর নিজেই শেয়ার করে নেন হেমাকন্যা। তিনি ইন্সটা স্টোরির একটি নোটে লেখেন,অহনা‘আমাদের যমজ মেয়ে অ্যাস্ট্রাইয়া ও অ্যাডিয়ার আগমনে আমি ভীষণ খুশি। ২৬ নভেম্বর ২০২০-তে আমি অহনা এবং বৈভব বোহরা গর্বিত আবারও বাবা-মা হতে পেরে। দাদু ডারিয়ান বোহরাও উৎসাহিত। ঠাকুমা-ঠাকুরদা হয়েছেন পুষ্পা ও বিপিন বোহরা, দিদা-দাদু হয়েছেন হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র দেওল’।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে হেমার বড় মেয়ে এষা তাঁর দ্বিতীয় সন্তান মিরায়ার জন্ম দেন। নাতনির জন্মের পর সঙ্গে সঙ্গে কোলে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখা গিয়েছিল হেমা মালিনীকে। মিরায়ার জন্মের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের ধর্মেন্দ্র-হেমার পরিবারে এল দুই নতুন অতিথি। এই হেমার নাতি নাতনির সঙ্গে সংখ্যা ৫। নতুন দাদু দিদা তাদের নাতি নাতনিকে নিয়ে বেজায় খুশি।
View this post on Instagram