Arpita Mukherjee: পুজোর দিনগুলি জেলেই কাটবে অর্পিতার, মেয়ের জন্য মন খারাপ মায়ের
বর্তমানে অর্পিতা শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন। একে মন্ত্রী মশাইয়ের সঙ্গে জমজমাট প্রেম করে ফেসেছেন, অন্যদিকে লোভ করে। শেষ পর্যন্ত দিনের পর দিন, রাতের পর রাত জেলখানার ঘরেই কাটছে সময়। গতবছর পুজো বা করোনা পূর্বের পুজোয় নাকতলা ক্লাবের হিরোইন ছিলেন অর্পিতা মুখার্জি। বিজয়া দশমীর দিন অর্পিতার ছবি থাকতো দেখার মত। পরনে থাকতো দামী শাড়ি গয়না ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই অর্পিতা এই বছর সংশোধনাগারে।
এদিকে দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে সেজে উঠছে বেলঘরিয়ার দেওয়ান পাড়া। এই এখানেই অর্পিতার মা থাকেন একা। অর্পিতা শহর থেকে মাঝে মধ্যে যেতেন মায়ের কাছে। বিশেষ করে পুজোর সময় বেলঘরিয়ার নিজের পাড়ার মণ্ডপে থাকতেন। পুজোর কাজে সাহায্য করতেন, নিজের হাতে কাজ করতেন, পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যও করতেন। কিন্তু, এই বছর সব মাটি। মানে ওই টাকা মাটি মাটি টাকা।
বেলঘরিয়া সেজে উঠলেও, অর্পিতার মায়ের মনে অন্ধকার রাজ করছে। পুজো, উৎসব, আলোর রোশনাই থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন অর্পিতার মা মিনতি মুখোপাধ্যায়। অসুস্থ শরীরে একাই দিন কাটাচ্ছেন চার দেয়ালে বন্দী থেকে।
এদিকে, ইডি-র চার্জশিট অনুযায়ী, অর্পিতা জানিয়েছেন সমস্ত টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এমনকি, টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে যেই সাতটি বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, হংকং, মালয়েশিয়া, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর এর মুদ্রা। অতপর সব পাওয়া গেলেও ভাগ্যের চাকা পুরোপুরি উল্টো দিকে ঘুরেছে, আর সেই জন্যেই এখন জেলের পিছনে দিন কাটাতে হচ্ছে অর্পিতাকে।