প্রেগন্যান্সি সময়কালীন মিলন উচিত না অনুচিত, ঝুঁকি রয়েছে কতখানি!
মিলন বা সহবাস যেকোনো সময় বা যে কোন দিন সম্ভব হতে পারে যদি দুই পক্ষের মতামত থাকে। যদি দুজনেই রাজী থাকেন তবে মিলন কখনো বাঁধা হতে পারে না। একজন স্ত্রী যখন প্রেগন্যান্ট থাকেন তখন তাঁর মনে স্বামীকে নিয়ে অযথা চিন্তা তৈরি হয়। অনেক মহিলা ভাবেন এই বুঝি তাঁদের স্বামী অন্য মহিলার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছেন (এমনটা সকলের না মনে হলেও গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই সময় মহিলারা সন্দেহপ্রবন হয়ে ওঠেন কিঞ্চিৎ)। যারা বিয়ের পর পর আচমকা প্রেগন্যান্ট হয়ে যান তাঁদের মাথায় হাত ওঠে অনেক সময়। এক্ষেত্রে অনেকে হাসি মুখে নতুন অতিথিকে স্বাগত জানান, কেউ কেউ আবার একটু মন খারাপ করে শেষে মানিয়ে নেন। যদি প্রোটেকশন নিয়ে নিরাপদ মিলন করেন তাঁদের জন্য প্রেগন্যান্সি হাতের মুঠোয়।
সবই ঠিক আছে, ধরে নিন আপনি অথবা আপনার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলেন, সেক্ষেত্রে কি মিলন বা সহবাস একেবারেই বন্ধ রাখবেন? বেশিরভাগ গর্ভবতী নারীর মনে প্রশ্ন থাকে “অন্তঃসত্বা অবস্থায় কি সেক্স করা যায়?”।
মাথায় রাখবেন গর্ভাবস্থায় একজন মহিলাকে নানা রকম মানসিক ও শারীরিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তাই যদি সে একেবারেই সহবাসে আগ্রহ না দেখায় তাঁকে অযথা বিরক্ত করা ঠিক হবে না। তবে মাথায় রাখবেন সহবাসের ফলে বাচ্চার কোনও রকম ক্ষতি হয় না। গর্ভকালীন অবস্থায় বাচ্চাটি মায়ের শরীরের ভিতর জরায়ুর মোটা আস্তরণের মধ্যে অ্যামনিওটিক ফ্লুয়িডের মধ্যে বসবাস করে। জরায়ুমুখকে ঢেকে রাখে ঘন মিউকাস প্লাগ যা বাচ্চাকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই যতক্ষণ না জল ভাঙছে ততদিন পর্যন্ত সহবাস করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে নিতে পারেন। যদি ডাক্তার অনুমতি দেন তা হলে প্রথম এবং তৃতীয় ট্রিমেস্টারেও সহবাসে কোনও ভয় নেই। মনে রাখবেন ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে তবেই গর্ভাবস্থায় সহবাস করুন। এবং অবশ্যই আন্যাল সেক্স থেকে বিরত থাকুন, এতে ইনফেকশনের আশঙ্কা বাড়ে। এছাড়াও, সহবাসের পরে যদি যোনি থেকে কোনও তরল বেরিয়ে আসে বা রক্তপাত হয়, ডাক্তারকে একবার দেখিয়ে নিন।
যারা সহবাস করতে ইচ্ছুক প্রেগন্যান্সির মধ্যেও তাঁরা কিছু সাবধানী পোজ ট্রাই করতে পারেন। এমন কোন পোজ ট্রাই করবেন না যাতে করে একজন গর্ভবতীর শরীরে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়। লিঙ্গ প্রতিস্থাপন করার ক্ষেত্রে এমন কিছু দিক খেয়াল রাখতে হবে যেখানে একটি বাচ্চার শরীরে কোন চাপ সৃষ্টি না হয়। অবশ্য সব শেষে এটাই বলা যায় যে একটি সুস্থ বাচ্চা আসা পর্যন্ত সাময়িক ধৈর্য ধরা প্রত্যেক কাপলের উচিত।