DVC: আর হবে না লোডশেডিং! ডিভিসি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি চালু করেছে WBSEDCL
দিন প্রতিদিন আমাদের মানবসভ্যতা উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে। আর এই উন্নতিসাধনের জন্য যে বিষয়টি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, তা হল প্রযুক্তি। আজকাল প্রায় সব প্রযুক্তিই হল বিদ্যুৎনির্ভর। তাই আজকাল বিদ্যুৎ ছাড়া যেমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন অসম্ভব, তেমনই বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের জনজীবন প্রায় অসম্ভব বললেই চলে। কারণ আমাদের সকলের বাড়িতেই সব ধরিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিদ্যুতে চলে। সেটি বাতি হোক বা পাখা কিংবা রেফ্রিজারেটর কিংবা শীতকালে গরম জলে স্নান করার জন্য গিসার।
আর এইসব কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সমানতালে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। এদিকে এখন একটু একটু করে ফুরিয়ে আসছে প্রচলিত শক্তির উৎস। কয়লা থেকে পেট্রোলিয়াম- সবের ভান্ডার দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে। তাই আজকাল অপ্রচলিত শক্তির উৎসের উপর নির্ভর হতে হচ্ছে আমাদের। এক্ষেত্রে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন বেশ ব্যয়বহুল। তাই বায়ুশক্তি ও জলশক্তির উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে একটু একটু করে। এদিকে আমাদের রাজ্যে বায়ুশক্তি উৎপাদন প্রায় অসম্ভব। তাই জলশক্তিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আধার হিসেবে ভাবা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সিংহভাগ বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দামোদর ভ্যালি করপোরেশন বা ডিভিসি। দামোদর নদীর উপর একাধিক বাঁধ তুলে সেখানে জল আটকে রেলে থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। আর এবার ডিভিসির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বেশি জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী হয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, পাঞ্চেত ড্যামে এবার পাম্প স্টোরেজ প্রোজেক্ট গড়ে উঠবে। এই বিষয়ে বুধবার ডিভিসি ও ডব্লিউবিএসইডিসিএল-এর মধ্যে এই সংক্রান্ত মউ স্বাক্ষরিত হল।
জানা গেছে, এই ধরণের প্রকল্প ইতিমধ্যে চালু হয়েছে পুরুলিয়া জেলায়। আর সেখানে সাফল্যের সঙ্গে সেটি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কারণ এই ধরণের প্রকল্পে একই জলকে একাধিকবার ব্যবহার করে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদক করা সম্ভব। সেই কারণেই প্রকল্প থেকে ১০০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হবে বলে আশা ডিভিসি ও সরকারের। তবে এই উৎপাদিত বিদ্যুতে দুই পক্ষেরই সমান ভাগ থাকবে। জানা গেছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রীষ্মে অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।