ঋতুভেদে রান্নাঘর থেকে বেডরুম- সব জায়গাতেই উৎপাত চালিয়ে যায় একটিমাত্র পতঙ্গ। শীত হোক বা গ্রীষ্ম, কিংবা বর্ষা, বাড়িতে আরশোলার উৎপাত যে কোনও সময়েই চলতে পারে। বিশেষ করে রান্নাঘরে এর উপদ্রব সবচেয়ে বেশি হয়। এক্ষেত্রে বলা যায় যে ঘরের হাইজিন বজার রাখতে এই আরশোলা আমাদের চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ খুবই ক্ষতিকর। খাবার-দাবারের উপর আরশোলা বসার ফলে জীবাণু সংক্রমনের আশঙ্কা তৈরি হয় প্রবলভাবে।
এবার গৃহস্থালিতে আরশোলার উৎপাত থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে বাজারে অনেক রকমের স্প্রে উপলব্ধ রয়েছে। তবে এসব ব্যবহার করে আরশোলার উৎপাত কমে ঠিকই, কিন্তু তার ফলে আমাদের শরীরেও নানা ক্ষতি হতে পারে। তাই ক্ষতি এড়িয়ে ঘরোয়া কিছু দিয়ে অনায়াসে আরশোলা তাড়াতে পারেন। এতে আপনার শরীরেরও ক্ষতি হবে না, উপরন্তু আরশোলাও চলে যাবে এবং ফিরে আসবে না। এই প্রতিবেদনে জনাবো তেমনই কয়েকটি পদ্ধতি।
● তেজপাতা: আরশোলা তেজপাতার গন্ধ এক্কেবারে সহ্য করতে পারেনা। তাই ঘর থেকে আরশোলার বংশ বিদায় করতে রান্নাঘর ও যেসব জায়গায় বেশি আরশোলা ঘোরাফেরা করে, সেইসব জায়গায় তেজপাতা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। এতে দারুন কাজ হয়।
● ভিনিগার: ভিনিগার যেহেতু জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে, তাই আরশোলা তাড়াতেও এর ব্যবহার অব্যর্থ। এক্ষেত্রে খানিকটা জল গরম করে তাতে ভিনিগার মিশিয়ে সেই জল দিয়ে আরশোলার উপদ্রবের জায়গাগুলি নিয়মিত মুছুন। এতে আরশোলা আর আসবে না সেই জায়গায়।
● ময়দা: ময়দা দিয়ে আরশোলা তাড়ানো একটি পুরানো পন্থা। তবে এক্ষেত্রে বোরিক এসিড দরকার। ময়দার সঙ্গে বোরিক এসিড মিশিয়ে রান্নাঘরে ছড়িয়ে দিন। এতে নিশ্চিতভাবে আরশোলার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাবেন।
● বেকিং সোডা: বেকিং সোডা আরশোলাকে খাওয়ানো গেলেই তাকে দমন করা যায়। এক্ষেত্রে চিনি ও বেকিং সোডা একসাথে গুঁড়ো করে কোনো মিষ্টিতে সেটি দিয়ে রান্নাঘরে ছড়িয়ে দিন। এই মিষ্টি খেলেই মারা যাবে আরশোলা।
● লবঙ্গ ও গোলমরিচ: এই দুটি মশলাকে একসাথে মিশিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এবার এগুলি গুঁড়ো করে নিন। সেই গুঁড়ো জলে মিশিয়ে সেটিকে স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে আরশোলা বাপ বাপ বলে পালাবে ঘর থেকে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এইসব উপায় অবলম্বনের আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।
