Lifestyle: অত্যাধিক সিগারেটের নেশা করেন স্বামী? ঘরোয়া উপায়ে শিখুন ধূমপান ছাড়ানোর উপায়
যে কোনও নেশা ছাড়ার জন্য প্রয়োজন প্রচন্ড পরিমানে মনোবল এবং ধৈর্য। ধূমপান একটি সাংঘাতিক বদঅভ্যাস। এই বদঅভ্যাস যখন আসক্তিতে পরিণত হয়। ক্রমাগত তা শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি করে আপনার। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই উচিত। সন্ধিক্ষণে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে মারতে দু-একটা সুখটান নিতে নিতে কখন যে সিগারেট আপনার বন্ধুরূপী শত্রু হয়ে দাঁড়ায় আপনি নিজেও হয়তো তা বুঝতে পারেন না।
কিন্তু সব ধূমপায়ীরা একই অভিযোগ করেন ধূমপান ত্যাগ করা সহজ নয়। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, হঠাৎ করে বা প্রথম প্রথম ধূমপান ছেড়ে দেয়ার সময় ব্যক্তি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হন। মূলত এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই ধূমপান ত্যাগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। গোটা বিশ্বে ধূমপায়ীদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর ধূমপানের এই নেশা ছাড়তে চেয়েও বারবার ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। ধূমপান ছাড়ার পর ছ’মাস, এক বছর বা বছর দুই তিনেক কাটানোর পরও ফের ধূমপানের আসক্তিতে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকে। বাজার চলতি নেশা ছাড়ানোর পদ্ধতিগুলোর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকর হয় না। তবে বাড়িতে থাকা কয়েকটি সহজ উপাদান দিয়ে আপনি আপনার পুরুষ বন্ধুর ধূমপানের সমস্যা খানিকটা কাটানোর চেষ্টা করতে পারেন। নুন দেখি নি সেই সহজ উপাদান গুলি কি কি।
মধু-»
মধুর বেশ কিছু ভিটামিন ও প্রোটিন শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেওয়ার সঙ্গে ধূমপান করার ইচ্ছাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ মধু খাওয়ার মাধ্যমে ধূমপান ছাড়তে কোনও অসুবিধাই হয় না। পান ছাড়ানোর পাশাপাশি মধুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার ত্বক এবং চুলকে আর শরীরকে ভেতর থেকে টক্সিন ফ্রী করতে সাহায্য করবে।
আদা-»
ধূমপানের নেশা ছাড়াতে চাইলে আদার ব্যবহার করা যেতে পারে। আদা চা বা কাঁচা আদা নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে ধূমপানের ইচ্ছে কমে যায়। আপনি যদি ধূমপান ছাড়তে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত মুখের মধ্যে কাঁচা আদা বিটনুন এর সহিত রেখে দেন তাহলে আপনার ধূমপান করার ইচ্ছা একেবারে চলে যাবে। কাঁচা আদার রস আপনার হজমে সাহায্য করে তাই এই আদা খেলে শরীর সবথেকে ভালো থাকবে।
মূলো-»
১ গ্লাস মূলোর রসের সঙ্গে পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে দিনে তিন বার করে নিয়মিত খেলে ধূমপানের ইচ্ছা একেবারে কমে যায়। শুধু ধূমপানের অভ্যাসই নয়, যে কোনও ধরনের নেশামুক্তির ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা মূলোর ওপরই ভরসা রাখেন।
লঙ্কা গুঁড়ো-»
গবেষণায় দেখা গেছে, নানাভাবে যদি নিয়মিত লঙ্কা গুঁড়ো খাওয়া যায়, তাহলে ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ধূমপান করার ইচ্ছাও কমতে থাকে। এক গ্লাস জলে সামান্য লঙ্কার গুঁড়ো ফেলে সেই জলটি পান করা যায়, সেক্ষেত্রে দারুণ উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে যাদের হজমের সমস্যা আছে বা লিভারের সমস্যা আছে, তারা এই পদ্ধতিটি কে বাদ দেবেন কারণ লঙ্কাগুঁড়ো কখনোই শরীরের জন্য ভালো নয়।
আঙুরের রস-»
ধূমপানের ফলে শরীরের ভেতরে নিকোটিনের মাধ্যমে জমতে থাকা টক্সিন বেরিয়ে গেলেই ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন যদি নিয়ম করে আঙ্গুরের রস খেতে পারেন তাহলে আপনার ধূমপান করার ইচ্ছা একেবারে চলে যাবে।
উপরের এই পদ্ধতিগুলোকে অবশ্যই মাথায় রাখুন। এই পদ্ধতিটি আপনার সুবিধার মনে হয় সেই পদ্ধতিটি এপ্লাই করুন। জীবন একটাই তাই জীবনকে সুন্দর করে তৈরি করার দায়িত্ব একমাত্র আপনার।