Cultivation Idea: গাছ লাগিয়ে লাখপতি! বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় শুরু করুন এই লাভজনক চাষ
গত কয়েকবছরে দেশের বেকারত্বের পরিমান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এখন শিক্ষিত হয়েও অনেক যুবক ও যুবতী হন্যে হয়ে ঘুরছেন শুধুমাত্র একটি চাকরির জন্য। এর মাঝে চাকরি মিললেও সে অর্থে বেতন পাচ্ছেন না অনেকেই। বলা যায়, দৈনিক সর্বনিম্ন বেতনের থেকে কম পরিমানে বেতন পেয়ে চাকরি করছেন দেশের বহু যুবক-যুবতী। তাই এখন চাকরির পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো রোজগারের পথ খুঁজতে উদ্যোগী হচ্ছেন কমবেশি সকলেই। আর এক্ষেত্রে ছোটখাটো ব্যবসা বা চাষাবাদ করার কথা ভাবছেন অনেকেই।
এবার ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অনেকের মনেই অনেক ভীতি কাজ করে। তাই এই অবস্থায় বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে সামান্য বিনিয়োগে লাভজনক কোনো চাষ করলেই কিন্তু ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। আর এক্ষেত্রে যদি কেউ এমন কথা ভেবে থাকেন, তাদের জন্য ‘এলাচ’-এর চাষ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। উল্লেখ্য, ভারতকে মশলার দেশ তকমা দেওয়া হয় প্রাচীনকাল থেকেই। আর এই মশলার সম্ভারের মধ্যে এলাচ বেশ জনপ্রিয়। রান্নার মশলা ও সুগন্ধি দ্রব্য হিসেবে এটি এমন একটি জিনিস, যার মধ্যে ভেষজ গুণও রয়েছে। তাই বাজারে এলাচের চাহিদা বছরের সব সময় একইরকম থাকে।
এই চাষ শুরু করা যায় বাড়ির পাশে অবস্থিত কোনো ছোট্ট ফাঁকা জায়গাতে। তাই এলাচের চাষে বিনিয়োগ খুব কম পরিমানেই করতে হয়। প্রথমেই নার্সারি থেকে উন্নতমানের এলাচ গাছের বীজ কিনে আনতে হবে। এই উন্নতমানের বীজ কিন্তু খুব কম সময়েই ভালো ফলন দেয়। এই গাছ মূলত বলে মাটিতে হয়। এছাড়াও এই গাছ বেড়ে ওঠার জন্য উৎকৃষ্ট তাপমাত্রা হওয়া উচিত ৩৫ ডিগ্রি থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই চাষে জল কিন্তু একটু বেশি পরিমাণে দরকার হয়। তাই বর্ষার মরশুমে চিন্তার কারণ নেই। তবে গ্রীষ্মকাল বা শীতকালে নিয়মিত এই গাছে জল দেওয়া খুবই জরুরি।
এবার দেখুন যে এই ক্ষুদ্র চাষকে কেন লাভজনক বলা হচ্ছে। শুরুতে এলাচের ফলন খুব বেশি না হলেও কয়েকবছর পর থেকে কিন্তু ভালো ফলন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে মোটামুটি প্রতি হেক্টর জমিতে ১৩০ থেকে ১৫০ কেজি এলাচ উৎপাদন হওয়া সম্ভব। এবার এলাচ বাজারে কয়েক হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। তাই বছরে আপনার উপার্জন দাঁড়াবে মোটামুটি কয়েক লক্ষ টাকা। সময়ের সঙ্গে এটি বাড়তেও পারে উল্লেখযোগ্য হারে।