Cultivation Idea: বাড়িতেই করুন এই ভিনদেশী ফলের চাষ, ফলন হলে কয়েকমাসেই হবেন লাখপতি
বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে চলছে চাকরির আকাল। কাজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে যুবসমাজকে। বলা বাহুল্য, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র কর্মসংস্থান এবং সঠিক বেতনের অভাবে আজো কর্মহীন অধিকাংশ যুবক-যুবতীরা। আর এর প্রভাবে ভারতের মতো দেশে ব্যাপকভাবে দেখা গেছে করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই। লকডাউনের স্তব্ধ জনজীবন চলমান হলেও গতি পায়নি কর্মসংস্থান। তাই এই বেকারত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবসা বা চাষাবাদ করার কথা ভাবছেন অনেকেই। তবে শুধুমাত্র ভাবা নয়, করেই ফেলুন এমন কিছু। এই প্রতিবেদনে রইল এমনই এক বিকল্পের সন্ধান, যা করতে পারলে আপনি কিন্তু চাকরির থেকেও বেশি রোজগার করতে পারবেন।
বর্তমানে দেশীয় বাজারে বাড়ছে বিদেশি ফলের চাহিদা। আম, কলা, লিচু, আঙুরের পাশাপাশি এখন অনেকেই স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফ্রুট, অ্যাভোগাডো, কিউয়ি ফল কিনতে পছন্দ করেন। তবে এখন যে ভিনদেশী ফলের চাহিদা দেশের বাজারে সর্বাধিক, তা হল কিউয়ি ফল। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতে সাধারণত এই ফলের চাষ হয়ে। কিন্তু এই ফল মূলত চিন দেশের ফল। এই ফলটি দেখতে একটু অদ্ভুত রকমের। ফলের বাইরের রঙ গোল্ডেন ব্রাউন এবং ভেতর সবুজ। এই কিউই বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের জাতীয় ফল। তবে এখন ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের কিছু রাজ্যেও এই ফলের চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে।
তবে সঠিক উপায়ে আপনিও এই ফলের চাষ শুরু করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে এই ফল কিন্তু ঠান্ডা পরিবেশে ভালো হয়। তাই শীত বা বর্ষায় এই চাষ শুরু করলে গাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। যেকোনো মাটিতেই এই ফল চাষ করা যায়। তবে আমাদের রাজ্যের আবহাওয়ায় কিউয়ি চাষের জন্য কোনো ছায়াযুক্ত জায়গা বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। বলা বাহুল্য, সঠিকভাবে এই ফলের চাষ করতে পারলেই কিন্তু একবছরের মধ্যে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারবেন এই চাষ থেকে।
উল্লেখ্য, এই কিউয়ি ফলের কিছু অসাধারণ গুনাগুন রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, বর্ষায় ডেঙ্গি হলে রোগীর পক্ষে এই ফল ভীষণভাবে উপকারী হয়ে থাকে। এছাড়াও কিউয়ির মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন-C, ফাইবার- যা নানা ভাবে শরীরের কাজে লাগে। তাই প্রতিদিন এই ফল একটা করে খেতে পারলে শরীরে ভিটামিন C-এর চাহিদা পূরণ হয়। সঙ্গে বাড়ে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও। কিউয়ির মধ্যে রয়েছে একাধিক খনিজ, যা শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।