Pension Scheme: মাসে ২০০ টাকা দিয়েই অবসরকালীন জীবনে ৭২ হাজার টাকার পেনশন দেবে কেন্দ্র
ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে অবসরপ্রাপ্ত মানুষদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু ছিল একটা দীর্ঘ সময় যাবৎ। সরকারি বা অনেক বেষকরকারী সংস্থায় কর্মরত নাগরিকরা রিটায়ারমেন্ট-এর পরেই ভরণপোষণের জন্য একটি মাসিক ভাতা পেতেন। এই যোজনাকে পেনশন যোজনা বলা হয়। তবে এখন পেনশন ছাড়াও অনেক ধরণের নাগরিক অনেক ধরণের ভাতা পেয়ে থাকেন সরকারের তরফ থেকে। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা প্রভৃতি দিয়ে থাকেন রাজ্যবাসীকে।
কয়েকদিন আগেই অবিবাহতিদের পেনশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল হরিয়ানা রাজ্য সরকার। তবে এবার বিবাহিতদের এই পেনশনের বিষয়ে এক বড়সড় সিধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে শুধুমাত্র অবিবাহিত বা অবসরপ্রাপ্তরা নয়, এবার থেকে বিবাহিতরাও পাবেন মাসিক ভাতা। আজ্ঞে হ্যাঁ, এবার থেকে এমনই এক অভিনব সিধান্ত নিতে চলেছে মোদি সরকার। দেশের বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলা- নাগরিক উভয়কেই নির্দিষ্ট মাসিক ভাতা দেবে কেন্দ্র সরকার। সেক্ষেত্রে প্রতি বিবাহিত পুরুষ বা মহিলারা মাসিক কত টাকা পেতে পারেন, তা জানা যায়নি।
‘প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী ধন মন’ (PM-SYM) প্রকল্পের আওতায় এই পেনশন মিলবে। এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সেইসব ভারতীয় নাগরিকরা, যারা অসংগঠিত শ্রমিক। মূলত পরিচারিকা, ফেরিওয়ালা, ইট ভাটা শ্রমিক, মুচি, গৃহকর্মী, ধোপা, রিকশাচালক, ভূমিহীন শ্রমিক, কৃষক, নির্মাণ শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিক, তাঁতি, চামড়া শিল্পের শ্রমিক এবং অনুরূপ অন্যান্য পেশা যাদের মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা বা তার কম তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। পাশাপাশি এই প্রকল্পে সুবিধা পেতে হলে সেই নাগরিকের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
এক্ষেত্রে মাসে মাত্র ২০০ টাকা জমা দিলেই অবসরকালীন সময়ে প্রায় ৭২,০০০ টাকা অবধি মাসিক পেনশন পেতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ কোনো নাগরিক যদি মাসে ২০০ টাকা করে লগ্নি করেন, সেক্ষেত্রে বছরে তার সঞ্চয় হবে ২৪০০ টাকা। ৬০ বছর পূর্ণ করার পর ওই নাগরিক এই সঞ্চয় থেকে মাসে ৭২,০০০ টাকা অবধি পেনশন পেতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ওই নাগরিকের একটি মোবাইল নম্বর, সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও আধার নম্বর থাকতে হবে।