মহিলারাও পর্ন দেখেন রমরমিয়ে, কোন ধরনের নীল ছবি তাদের পছন্দের তালিকায়?
ঘরকন্যার কাজ সেরে সংসার সামলাতে সামলাতে স্বামীর সন্তানের ফরমায়েশ খাটতে খাটতে নারীর জীবনে একঘেয়েমিতা সে আরো একটু অন্য কিছু করার ইচ্ছা মনের ভেতর তৈরী হয় যা কোনো দোষের নয়। আপাতদৃষ্টিতে সমাজের মনে হতে পারে, যে নারীর নীল ছবি দেখতে ইচ্ছা করে সে বোধ হয় লাগামছাড়া। কিন্তু একদমই নয়। মাঝে মধ্যে নীল ছবি দেখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো একথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কোন কিছুর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হওয়া একেবারেই ভালো নয়। এ সমস্ত ভিডিও যদি আপনার শরীরে ক্ষতি করে তাহলে তা মোটেই ভালো নয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে এইসব ভিডিও দেখলে ক্ষতির চেয়ে ভালোটাই বেশি হয়।
তবে মেয়েদের পছন্দটা কিন্তু পুরুষদের পছন্দের থেকে একটু আলাদা। পুরুষরা নীল ছবির ভিডিওতে মেয়েদের চেহারা দেখেই কুপোকাত হয়ে যান। সে ক্ষেত্রে নারীরা কিন্তু শুধু পুরুষ চেহারা দেখেননা। তারা নারীর চেহারা দেখেই শিহরিত হন। এছাড়া খুব স্বাভাবিকভাবেই নারী মনে শিহরণ ঘটায়, পুরুষের উত্থিত লিঙ্গ। তাছাড়া আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, মহিলারা একসঙ্গে দলবেঁধে বসে নীল ছবির ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করেন। তার সঙ্গে বান্ধবীদের সঙ্গে চলে নানান রকম মজা মশকরা।
আগেকার দিনে বটতলা থেকে নিষিদ্ধ চটি বই নিয়ে এসে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা হতো, তবে নীলছবির ক্ষেত্রেও এই লুকিয়ে পড়ার বিষয়টা একেবারেই উঠে যায়নি। তবে অনেক সময় মহিলারাও তাদের স্বামীর নীল ছবি দেখা পছন্দ করেন না। তাদের কোথাও যেন একটা মনে হয় যে অন্য সম্পর্কের প্রতি স্বামীর আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কিন্তু এই আশঙ্কা একেবারেই সঠিক নয়।
মেয়েদের ক্ষেত্রে নীল ছবি দেখার ভালো দিকটি হলো – যৌন চাহিদা প্রকাশ করতে সাহায্য করে। যে সমস্ত মেয়েরা স্বামীর কাছে এই চাহিদা প্রকাশ করতে লজ্জা পায়, তারা যদি বেশ কিছুদিন স্বামীর সঙ্গে বসেই নীল ছবি দেখেন, তাহলে সম্পর্ক অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যায়। প্রাথমিক লজ্জা এবং দ্বিধা কাটিয়ে উঠে বিছানায় বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাতে সাহায্য করে নীল ছবি। স্বামীর সঙ্গেও সহবাস করার সময় কোন অসুবিধা থাকেনা।
তবে একটি খারাপ দিকও আছে। এই সমস্ত নীলছবির ভিডিওতে সব সময় নিখুঁত নায়ক নায়িকাকে দিয়ে অভিনয় করানো হয়। যদি তার মধ্যে খুঁত থাকেও ক্যামেরার মাধ্যমে তা চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। এই সমস্ত ভিডিও দেখে নারীর মনে নিজের সৌন্দর্য নিয়ে খুঁতখুঁতে ভাব তৈরি হয়। তাই এসব বিষয়ে নজর দেওয়ার দরকার নেই। যা দেখে মনে কষ্ট তৈরি হয় বা হীনমন্যতায় ভুগতে পারেন সেই সব বিষয়ে নজর না দেওয়াই ভালো।