whatsapp channel
Hoop News

Ration Update: নতুন বছরে বড় ‘সারপ্রাইজ’ দিচ্ছে মোদি সরকার, রেশন দোকানে মিলবে এই অতিরিক্ত সামগ্রী

স্বাধীনতার পর ভারতে একাধিকবার দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আর তখন থেকে দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে যুগান্তকারী রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে দেশেও। আর এখনো অবধি ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক নাগরিক মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন দোকান থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের ধরণের উপর।

এক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার প্রদত্ত একাধিক ধরণের রেশন কার্ড দেওয়া হয় নাগরিকদের। তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করেই এই কার্ড ইস্যু করা হয়। অন্ত্যোদয় অন্নযোজনা হল কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত রেশন কার্ডের বিশেষ ক্যাটাগরি। অতি দরিদ্র নাগরিকদের এই ক্যাটাগরিতে এনে একটু বেশিই সুবিধা দেয় সরকার। তবে করোনাকালীন সময়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে দেশরর খাদ্যাভাব দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া মোদি সরকার। ২০২০ সালে দ্বিগুন রেশন সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া শুরু করে কেন্দ্র।

আর সেই থেকেই এই বিষয়টিকে বর্ধিত করে আসছে কেন্দ্র। আর ফের একবার এই সুবিধার বর্ধিতকরণের ঘোষণা করেছে সরকার। ২০২৪ থেকে আরো ৫ বছর দেশবাসীকে এই সুবিধা দেওয়া হবে। অর্থাৎ ২০২৯ সাল অবধি মিলবে এই সুবিধা। আর এই আসন্ন সময়ে আরো বেশি দেশবাসীকে এই সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামী স্পেলে ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ উপভোক্তা এই সুবিধা পাবেন। এর ফলে কেন্দ্রের অতিরিক্ত ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে।

এছাড়াও রেশন নিয়ে একটি বড় ঘোষণা করেছে সরকার। জানা গেছে, এবার থেকে যারা মাসে ৩৫ কেজি গম পেতেন, তারা অর্ধেক পরিমানে গম পাবেন। তবে খবরটি মোটেও খারাপ খবর নয়। কারণ এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে টুইস্ট। কারণ গমের পরিমান অর্ধেক করা হলেও তার পরিবর্তে দেওয়া হবে বাজরা। অর্থাৎ, এতদিন অবধি যারা ৩৫ কিলো গম পান, তারা এবার থেকে ১৮ কেজি গম এবং ১৭ কেজি বাজরা পাবেন।

whatsapp logo

Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা