সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই যেমন এক গ্লাস জল পান করা উচিত শরীরকে ভালো রাখতে, ত্বককে সুন্দর করতে ঠিক তেমনি স্টেপ বাই স্টেপ ত্বকের পরিচর্যা করা উচিত। আমরা অনেক সময় ছোট ছোট স্টেপগুলি করতে একেবারে ভুলে যাই যা কিন্তু কোনভাবেই উচিত নয়। যেকোনো একটা স্টেপ মিস করলেই কিন্তু আপনার ত্বক একেবারে খারাপ হয়ে যাবে। অকাল বার্ধক্য চলে আসবে। তখন ত্বক ঝুলে যাবে, ত্বকে পিগমেন্টেশন চলে আসবে। নানান রকম সমস্যায় দেখবার হয়ে যাবেন। খুব বেশি নয়, খুব সহজ সাধারণ ঘরোয়া উপাদান দিয়ে আপনি করতে পারেন এই সহজ রূপচর্চা। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –
১) পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন – সকালে উঠেই প্রথমে যে কাজটি করবেন সেটি হল ঠান্ডা জলে মুখে ভালো করে ঝাপটা দেবেন। পরিষ্কার ঠান্ডা জলে মুখে ঝাপটা দিলে মুখের ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যাবে। যার ফলে মুখের উজ্জ্বল্য ভাব বেড়ে মুখের উপরে থাকা নোংরা সহজে দূর হয়ে যাবে।
২) ঘরোয়া ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন – ভালো করে জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পরে, একটি ক্লিনজার বানিয়ে ফেলুন এই ক্লিনজারটি বানাতে প্রয়োজন হবে তিন থেকে চার টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, এক টেবিল চামচ গোলাপ জল এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এই তিনটিকে খুব ভালো করে মিশিয়ে মুখে, গলায় লাগিয়ে ভালো করে ঠান্ডা জল দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে ফেলুন।
৩) টোনার অবশ্যই লাগান – মুখ পরিষ্কার করার অন্তত পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের মধ্যে টোনার ব্যবহার করতে হবে। যদি ঘরোয়া উপাদান হিসেবে টোনার লাগাতে চান, তাহলে গ্রিন টি, শসার রস ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি না থাকে গোলাপ জল ব্যবহার করুন। গোলাপ জল অত্যন্ত ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে।
৪) সপ্তাহে দুদিন স্ক্রাবিং অত্যন্ত জরুরী – সপ্তাহে অন্তত দুদিন স্ক্রাবিং ভীষণ জরুরী। ভালো করে স্ক্রাবিং করলে তবে আপনার মুখের উপরে হওয়া ময়লাগুলি সহজে দূর হবে স্ক্রাবিং করার জন্য নিতে হবে। চালের গুঁড়ো, বেসন, কাঁচা দুধ, কফি পাউডার এবং গোলাপ জল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মুখে, গলায়, পিঠে, হাতে ভালো করে স্ক্রাবিং করে নেবেন।
৫) সানস্ক্রিন কখনো ভুলবেন না – সবকিছু করার পরে অবশ্যই যে কাজটি করতে ভুলবেন না। তাহল সানস্ক্রিন লোশন লাগাতে। এই লোশন যদি বাড়িতে থাকেন তাহলেও আপনাকে লাগাতে হবে। না হলে সূর্যের কড়া রশ্মি আপনার ত্বককে একেবারে নষ্ট করে দেবে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।