Hoop Life

Lifestyle: সন্তান আসার পর দাম্পত্যে দূরত্ব! রইলো সুস্থ যৌন জীবনের সহজ টোটকা

প্রেম করার সময় একে অপরের হাত ধরলেই যেন মনে হয় আহ চরম শান্তি। সেই প্রথম স্পর্শের শিহরণ বিয়ের সময় এমনকি বিয়ের পর আর থাকে না। কারণ, একটাই। সেটি হল, আমাদের ব্রেন একবার সেই স্পর্শ নিয়ে নিয়েছে, সে বুঝে গিয়েছে সেই স্পর্শের ইঙ্গিত, তাই পরিবর্তিত পুরোনো স্পর্শ মনে শিহরণ দেয় না ঠিকই, তাই বলে কি পুরোনো রোম্যান্স বা যৌন জীবন কি মলিন হয়ে যেতে পারে একটি সন্তান আসার সময় থেকে? এমনিতেই ডাক্তাররা বলে থাকেন যে গর্ভবতী অবস্থাতেও যৌন সম্পর্ক স্বাভাবিক যদি না কোনো ক্রিটিকাল কন্ডিশন থাকে গর্ভবতী মায়ের।সুতরাং, প্রতিদিনের সংসারে চলতে গেলে একটা সুস্থ স্বাভাবিক যৌন জীবন একান্ত জরুরি। কিন্তু, সন্তান আসার পর যৌন সম্পর্কে ভাঁটা শুরু হয়। এটা কিভাবে আগের মতন স্বাভাবিক ভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই টোটকা দেবে HoopHaap.Com.

১) ধৈর্য ধরতে হবে – সন্তান হওয়ার সময় থেকে অন্তত ২ থেকে ৩ মাস স্ত্রীকে সময় দেওয়া উচিত শারীরিক ভাবে সুস্থ হওয়ার জন্য। স্ত্রী যদি শারীরিক ভাবে আরামদায়ক হন তিনি নিজেই আসবেন স্বামীর কাছে। তাছাড়া, সন্তান প্রসবের পর মায়ের দ্বায়িত্ব বহুগুণ বেড়ে যায় এবং পুরোটাই নতুন জীবন। তাই তার বুঝতে, কাজ করতে গিয়ে শারীরিক ক্লান্তি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরতে হবে একজন স্বামীকে।

২) স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া রাখতে হবে – দুজনের মধ্যে রাগারাগি করলে চলবে না, এতে করে যৌন জীবন আরো বেশি করে হেনস্থা হয়। দুজনকেই বুঝতে হবে যে ঘরে বাইরে উভয়কে কঠিন পরিশ্রম করতে হয় ও দ্বায়িত্ব রক্ষা করতে হয়।তাই জোর না করে বোঝাপড়া ঠিক রাখুন।

৩) স্বামী হিসেবে ঘরের কিছু দ্বায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে – সন্তান প্রসবের পর একজন স্ত্রীর মানসিক ও শারীরিক দ্বায়িত্ব বেড়ে যায়। তাই স্বামী হিসেবে ঘরের ছোট্ট ছোট্ট কাজ করলে একে অপরের প্রতি প্রেম ভালোবাসা বেড়ে যায়।

৪) ঘরে উৎসবের ও আনন্দের প্রবাহ ধরে রাখতে হবে – সন্তান আসার পর ঘর এমনিতেই আনন্দে ভরে ওঠে, সেই আনন্দ ধরে রাখতে হবে দুজনকেই।

৫) স্বামী স্ত্রীতে মিলে একসঙ্গে কথা বলতে হবে – সময় পেলেই দুজনের সঙ্গে দুজনকে কথা বলতে হবে। ছোট ছোট আলিঙ্গন, চুম্বন সম্পর্কের গভীরতা বাড়ায়।

Disclaimer: উপরের সমস্ত তথ্য গবেষণা ও আলোচনা ভিত্তিক। কাউকে আঘাত করা বা ভ্রান্ত করা উদ্দেশ্য নয়। বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।