ক্যাটারিং নিয়ে নো চাপ, এবার দায়িত্ব নেবে Zomato, পরিষেবা চালু হচ্ছে কলকাতায়
অগ্রহায়ণ শেষ হয়ে এখন চলছে পৌষ মাস। আর এই পৌষ মাসকে ‘মল মাস’ হিসেবে গণ্য করা হয় হিন্দুধর্মে। অর্থাৎ, এই মাসে যেকোনো ধরণের শুভ কাজ নিষিদ্ধ। তাই অগ্রহায়ণ শেষ হতে না হতেই শীতের বিয়ের মরশুমের প্রথম ধাপ যে শেষ হয়েছে, তা বলাই যায়। তবে পৌষ শেষ হলেই কিন্তু আসছে মাঘ ও ফাল্গুন মাস। এই দুই মাসে অনেক বিয়েবাড়ির লগ্ন রয়েছে। এছাড়াও এই পৌষ মানেই কিন্তু বড়দিন, নানা উৎসব ও পিকনিকের মরশুম। এককথায় এই শীতের দিনে ভালোমন্দ খাওয়াদাওয়া করে আনন্দে সময় কাটাতে পছন্দ করে বাঙালি। আর এবার এমন ভোজনরসিক বাঙালির জন্য দারুন ঘোষণা করল Zomato।
বিগত কয়েকবছরে কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোট শহরেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে ফুড ডেলিভারি কোম্পানিগুলি। এখন বাইরে বেরিয়ে খাবার কিনে আনার থেকে অনেকেই বাড়িতে বসে মোবাইলে বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করে নেন। গরম গরম খাবার পরিবেশন ককরে ইতিমধ্যে Zomato কোম্পানিটি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলার বুকে। যদিও এটি একটি প্যান ইন্ডিয়া কোম্পানি। তবে শহর কলকাতাকে নিয়ে এবার বড় চিন্তাভাবনা শুরু করল এই কোম্পানি।
এতদিন পর্যন্ত দেখা যেত যে বিয়েবাড়ি বা যেকোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে খাবারের কমতি হলে চরম সমস্যায় পড়তে হত আয়োজকদের। বাইরে থেকে সেই একই খাবার আনতে যেন কালঘাম ছুটে যাওয়ার অবস্থা হত তাদের। তবে এবার হয়তো এই টেনশন থেকে বাঙালিকে মুক্তি দিতে চলেছে ফুড ডেলিভারি সংস্থা Zomato। জানা গেছে, এবার থেকে আওহর কলকাতার বুকে যেকোনো অনুষ্ঠান বাড়ির খাবারের ব্যবস্থা ক্যাটারিং সিস্টেমে করবে এই কোম্পানি। আর তাতে এক জায়গা থেকেই হবে সব আয়োজন।
সম্প্রতি, সংস্থার শীর্ষ কর্তা রাকেশ রঞ্জন এই বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে বিয়েবাড়ির মতো বড় অনুষ্ঠানের ক্যাটারিংয়ের ব্যবস্থা যেমন থাকবে এর মধ্যে, তেমনই বাড়িতে ছোটখাটো যেকোনো অনুষ্ঠানে গ্রাহকদের পছন্দমতো এবং পরিমান মতো ডিশ সরবরাহ করবে তারা। তবে কিভাবে এই নতুন ব্যাবস্থার রূপায়ন ঘটবে বা কবে থেকে চালু হবে এই ব্যবস্থা, তা নিয়ে কোনো তথ্য হাতে আসেনি।