Hoop Life

Food: ঘি নাকি মাখন! কোনটি স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি ক্ষতিকর? সঠিক উত্তর জানলে চমকে উঠবেন

ক্যালেন্ডারে চলছে জানুয়ারি মাস। আর রাজ্যজুড়ে চলছে শীতের দ্বিতীয় ইনিংস। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়েছে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। এই শীতকালে অনেক খাবারের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তার মধ্যে অন্যতম হল দুগ্ধজাত ঘি এবং মাখন। এই শীতে গরম ভাতের সঙ্গে ঘিয়ের কম্বিনেশন যেন রাজজোটক। একইভাবে সকালের ব্রেকফাস্টে পাউরুটি হোক বা রাতের পরোটা কিংবা কোনো সুস্বাদু রান্নায় বাটার বা মাখন ব্যবহার করা হয়। আর আজ ঘি ও বাটার হল একইরকমের দুটি খাবার। কিন্তু এর মধ্যে কোনটি খাওয়া উপকারী, কোনটি বেশি ক্ষতিকর- এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। আসুন জেনে নিই সেই বিষয়েই।

ঘি হল একটি বিখ্যাত দুগ্ধজাত খাবার। অনেক রান্নায় যেমন ঘিয়ের ব্যবহার হয়, তেমনই অনেকে আবার ভাতের সঙ্গে ঘি মেখে খেয়ে থাকেন। তবে এই ঘিয়ে কিন্তু অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। শুনলে কবাক হবেন যে এটি একটি পুষ্টির ভান্ডার।কারণ, ঘিয়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, কোলিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপদান। তবে এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকর। কারণ ঘিয়ে প্রচুর পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।

এদিকে মাখন বা বাটার হল উত্তর ভারতের জনপ্রিয় একটি দুগ্ধজাত খাবার। আজকাল মানুষের মধ্যে নানাভাবে বাটার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এতেও রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান। মাখনে পাওয়া যায় ভিটামিন, খনিজ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। তবে মনে রাখতে হবে যে এতেও কিন্তু স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মতো ক্ষতিকর উপাদান। এই উপাদান হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে অনেকভাবে। তা সত্ত্বেও মাখন খাওয়া কমেনা উত্তর ভারতের মানুষের মধ্যে।

এখন প্রশ্ন হল যে ঘি ও বাটারের মধ্যে কোনটি খাওয়া উপকারী। এর উত্তর হবে, দুটির মধ্যে কোনোটিই শরীরের পক্ষে তেমনভাবে উপকারী নয়। কারণ দুটিতে প্রচুর পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা শরীরের ক্ষতি করে। তবে কম মাত্রায় ঘি খেতে পারেন মাঝেমধ্যে। এক্ষেত্রে সপ্তাহে দুদিনের বেশি খাওয়া ঠিক হবেনা। এছাড়াও পিনাট বাটার খেতে পারেন। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমান অনেকটা কম থাকে। তবে অতিরিক্ত খেলে শরীরের পক্ষে এটিও ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। বাস্তব জীবনের যেকোনো সমস্যায় আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Related Articles