শীতকালে বাথরুমে গিজার লাগানোর আগে জেনে নিন এই বিষয়গুলি, দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে
গত কয়েকদিন ধরেই বদলে গিয়েছে রাজ্যের আবহাওয়া। সকাল সন্ধ্যা কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। রাত বাড়লেই নামছে পারদ। সূর্যাস্তের পরেই শীতের চাদরে ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়, বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে নেমেছে তাপমাত্রা। তবে এই শীতের শুরু। এখন দিন দিন তাপমাত্রা নামবে রাজ্যে, এমনটাই রয়েছে পূর্বাভাস।
আর এই শীতকালের আগমন মানেই আমাদের জীবনধারায় বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটাতে হয়। যেহেতু আমরা গ্রীষ্মপ্রধান দেশে থাকি, তাই শীতকাল আমাদের কাছে স্পেশাল। এই সময় যেমন লেপ, কম্বল, সোয়েটার বের করতে হয়, সেভাবেই ঘরে বসানো হয় রুম হিটার, বাথরুমে লাগানো হয় গিজার। তবে এই গিজার লাগানোর আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় না রাখলেই হতে পারে মহা বিপদ। এই প্রতিবেদনে দেখে নিন সেইসব বিষয়গুলি।
● ভালো মানের গিজার কেনা: এখন বাজারে অনেক ধরনের গিজার উপলব্ধ রয়েছে। তবে তার মধ্যে থেকে ভালো মানের গিজার কিনে তবেই বাড়িতে লাগানো উচিৎ। কারণ গিজার ফেটে দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই চাউর হয়। তাই ISI মার্ক দেখে ভালো কোম্পানির গিজার কেনা শ্রেয়। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমে যায়।
● সঠিকভাবে ইন্সটল করা: গিজার কিনে এনে ইলেকট্রিক কাজেট অভিজ্ঞতা না থাকলে সেটিকে নিজে ইন্সটল না করাই ভালো। এখতরে দক্ষ মেকানিক ডেকে এটিকে ইন্সটল করে নেওয়া শ্রেয়। কারণ ইলেকট্রিক কানেকশন পোক্ত হলে এবং সঠিক হলে তবেই পরিবারের সুরখা নিশ্চিত হয়।
● সঠিক সময়ে বন্ধ করা: গিজার চালিয়ে পরিমাণমতো জল গরম ককরে সেটিকে বন্ধ করে দিতে হবে। যদি গিজার চলতেই থাকে তাহলে সেটি টাইম বোমের মতো হতে পারে। এক্ষেত্রে বাথরুমে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে যেতে পারে। তাই প্রয়োজন মিটলে সেটিকে অফ রাখুন।
● বাচ্চাদের আয়ত্ত থেকে দূরে রাখা: বাথরুমের উপরের অংশের গিজার সেট করে ভালো। যেহেতু এটি ইলেক্ট্রিকের মাধ্যমে চলে, তাই সেটিকে বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখাই উচিত।