whatsapp channel

Madan Mitra: মমতার আদলে নির্মিত মাতৃমূর্তিতে ‘চক্ষুদান’ করলেন মদন মিত্র

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানি থাকলেও তার মধ্যেই মাতৃ আরাধনার আয়োজন শুরু করেছেন পুজোর উদ‍্যোক্তারা। সাধ‍্যমতো চমক রাখছেন তাঁরা নিজেদের পুজোয়। কিন্তু এবার বাগুইআটি নজরুল পার্ক উন্নয়ন সমিতি সবাইকে ছাপিয়ে গেল।…

Avatar

HoopHaap Digital Media

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানি থাকলেও তার মধ্যেই মাতৃ আরাধনার আয়োজন শুরু করেছেন পুজোর উদ‍্যোক্তারা। সাধ‍্যমতো চমক রাখছেন তাঁরা নিজেদের পুজোয়। কিন্তু এবার বাগুইআটি নজরুল পার্ক উন্নয়ন সমিতি সবাইকে ছাপিয়ে গেল।

চলতি বছর আটত্রিশ তম বর্ষে পদার্পণ করল বাগুইআটি নজরুল পার্ক উন্নয়ন সমিতি। এবার মাতৃমুর্তি থেকে প্রতিমার চক্ষুদান সবই ছিল নজরকাড়া। চলতি বছরে তাঁদের দুর্গাপ্রতিমা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-র আদলে। তবে এটি ফাইবার গ্লাসের মূর্তি। এই মূর্তির পুজো হবে না। কিন্তু পুজো না হলেও ফাইবার গ্লাসের তৈরি এই মূর্তির চক্ষুদান করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। মদন মিত্র ছাড়াও চক্ষুদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায় (Sougata Ray)।

সাদা শাড়ি পরিহিত মাতৃমূর্তির দশ হাতে দশটি প্রকল্পের নাম যা রাজ্য সরকারের অন্যতম প্রকল্পগুলির মধ্যে পড়ে। চালচিত্রে রয়েছে বিশ্ব বাংলার লোগো। প্রতিমা নির্মাণ করেছেন মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল (Mintu Pal) ও থিম তৈরি করেছেন অভিজিৎ গন (Abhijit Gan)। এদিন প্রতিমার চক্ষুদানের মাধ্যমে বাগুইআটিতে সূচনা হল উৎসবের। প্রকৃতপক্ষে মমতা আজ মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেও একসময় তাঁর লড়াইয়ের কথা অনস্বীকার্য। সেই লড়াই তাঁকে করে তুলেছে অগ্নিকন‍্যা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সহপাঠিনী একবার একটি ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন। তখন প্রথমবার মমতা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণ করেছেন। মমতা যোগমায়া দেবী কলেজে পড়াকালীন এই ঘটনা ঘটেছিল। ওই সহপাঠিনী ছিলেন কলকাতার একটি নামী ঘরের মেয়ে। হঠাৎই একদিন মমতাকে ছাত্র রাজনীতির নেত্রী হিসাবে ট্রামলাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে দেখে তিনি সহ যোগমায়া দেবী কলেজের অন্যান্য ছাত্রীরা বলেছিলেন, ছোট ঘরের মেয়ে মমতা, তাই তিনি ওই সব করতে পারেন। এর কিছুদিন পর ওই সহপাঠিনী হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে যান। সেই সময় সবার আগে মমতা ছুটে গিয়ে তাঁর মুখে -চোখে জলের ছিটে দিয়ে জ্ঞান ফেরান। এরপর তিনি জানতে পারেন, ওই সহপাঠিনী কলেজে আসার তাড়ায় কিছু খেয়ে আসার সময় পাননি। ফলে অসুস্থ বোধ করে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তখন মমতা কিছু বিস্কুট ও জলের ব্যবস্থা করে তাঁকে খাইয়ে দেন। এরপর ওই সহপাঠিনী সুস্থ বোধ করলে মমতা বলেন, ভোরবেলা উঠে বাড়ির কাজ সামলে আসতে গিয়ে তিনিও কিছু খাওয়ার সময় পান না। পরবর্তীকালে ওই সহপাঠিনীর ধারণা বদলে গিয়েছিল মমতাকে নিয়ে। মমতা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করে ভেঙেছিলেন দীর্ঘকালের বাম জমানা। তাঁর সহপাঠিনী বলেছিলেন, “ও-ই পারে”।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media