Bengali SerialHoop Plus

Khorkuto: বাস্তব একাকার পর্দায়, পিতৃহারা হলেন গুনগুন, ‘খড়কুটো’-এ দেখানো হলো অভিষেকের মৃত্যু

গত 24 শে মার্চ হঠাৎই সকলকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। মৃত্যুর আগে অবধি ‘মোহর’ ও ‘খড়কুটো’-য় বাবার চরিত্রে অভিনয় করছিলেন অভিষেক। তাঁর মৃত্যুর পর শেষ হয়ে যায় ‘মোহর’। কিন্তু সম্প্রচারিত হচ্ছে ‘খড়কুটো’। এই সিরিয়ালে অভিষেককে নিয়মিত দেখতে পেতেন দর্শক। ফলে অনেকের কাছেই প্রশ্ন ছিল, অভিষেকের মৃত্যুর পর কি হবে তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলির!

চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly) জানিয়েছিলেন, ‘খড়কুটো’ ও ‘মোহর’-এ অভিষেকের স্থান কেউ দখল করবে না। ‘মোহর’ শেষ গেলেও ‘খড়কুটো’-য় কাহিনী ও বাস্তব এবার মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। ‘খড়কুটো’-তেও গুনগুন হল পিতৃহারা। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা গুনগুনকে রেখে এক সপ্তাহের জন্য ইটালিতে একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তার বাবা ডাঃ কৌশিক। কিন্তু ইটালি থেকে তাঁর এক সহকর্মী ফোন করে সৌজন্যকে জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কৌশিকের। কৌশিকের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে অত্যন্ত সাবলীল অভিনয় করেছেন পর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তবে বাবার মৃত্যুর খবর এখনও দেওয়া হয়নি গুনগুনকে।

বুধবার ‘খড়কুটো’-র এই বিশেষ পর্ব সম্প্রচারিত হলেও বাবার মৃত্যুর খবর শোনার পর গুনগুনের চরিত্রে তৃণা সাহা (Trina Saha)-র অভিনয় দেখার জন্য অপেক্ষায় তাঁর অনুরাগীরা। অভিষেকের মৃত্যুর পর তৃণার মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। তৃণা বলেছিলেন, অভিষেক চাইতেন, তাঁর মেয়ে ডল (Doll) যেন তৃণার মতো হয়। তৃণার এই কথার জবাবে অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা (Sanjukta Chatterjee) বলেছিলেন, ডলের নিজস্ব সত্ত্বা নিয়েই খুশি ছিলেন অভিষেক।

তবে তৃণা ও প্রতীক (Pratik) যথেষ্ট ভেঙে পড়েছিলেন অভিষেককে হারিয়ে। অভিষেকের সঙ্গে তাঁদের সুন্দর সম্পর্কের কথা মনে করে বারবার কেঁদে ফেলছিলেন তাঁরা। অভিষেকের শেষযাত্রায় তাঁকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন প্রতীক।

Related Articles