ভূত চতুর্দশীতে জেনে নিন ভারতের এই ভুতুড়ে স্থানের রহস্যময় ঘটনা
ইতিহাসের এক প্রসিদ্ধ নবাব ফিরোজ শাহ তুঘলক ফিরোজাবাদকে নিজের মতো করে সাজাতে চেয়েছিলেন। ৩৭ বছরের তার শাসনকালে তৈরি করেছেন বহু প্রাসাদ। এই প্রাসাদ গুলির মধ্যে একটি অন্যতম স্থান হল ফিরোজ শাহ কোটলা। ফিরোজাবাদ তখন আস্তে আস্তে তার পুরনো গরিমা হারাতে শুরু করেছে। তার জায়গায় নতুন স্থান নিচ্ছে দিল্লি। নাম পরিবর্তনের সাথে সাথে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গরিমা হারাতে থাকে ফিরোজ শাহ কোটলা।
কিন্তু আজ এই স্থানটি ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। নতুন দিল্লি এবং পুরনো দিল্লির মাঝখানে সংযোগ স্থাপনে এক অন্যতম জায়গা গ্রহণ করেছে ফিরোজ শাহ কোটলা। মধ্যযুগীয় এই ছোট্ট কেল্লাটি ইতিহাস প্রেমী মানুষদের এক অন্যতম ভালো লাগার জায়গা।
তবে শুধু ভালো লাগার জায়গায় নয়, ইতিহাস বলছে এখানে নাকি তৈরি হয়েছে নানান রকম ভৌতিক রহস্য। মূলত গরমকালের তীব্র জল কষ্টের হাত থেকে দূর করতে যমুনার তীরে তৈরি হয়েছিল এই ছোট্ট কেল্লাটি। এর ভিতরে রয়েছে অনেকগুলো ধাপ কুয়ো। যা জল সংরক্ষণে সাহায্য করে। এখানে ভূগর্ভস্থ জল এবং নদীর জল দুটোই পাওয়া যায় বলে এখানে জল কষ্ট হয়না।
তবে এই স্থানে সহজে প্রবেশ করতে দেওয়া যায় না। অন্তত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। শুধু যারা গবেষণা করতে চান তারাই একমাত্র ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। আস্তে আস্তে এই কেল্লার পুরনো গরিমা হারিয়ে গিয়ে ভুতুড়ে স্থানে পরিণত হয়। ১৯৭৭ সালে হঠাৎ করেই রটে যায় এই কেল্লায় নাকি ভূত আছে। এইখানে এলেই নাকি চিরকুটের সমস্যা লিখে গেলে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করে দেন অশরীরী আত্মারা। এ বিশ্বাস এর টানেই দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকদের আবির্ভাব হয় এখানে। আসল সত্যি কি তা এখনও রহস্যের মধ্যেই আছে। যাই হোক ভূত থাকুক বা না থাকুক ফিরোজ শাহ কোটলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে তা বলাই বাহুল্য।