Hoop Life

Lifestyle: পান্তা ভাত খেলে দুটি উপকার ফ্রীতে পাবেন

গ্রামের বাড়ি, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দেখলেন সামনে হাজির এক থালা পান্তা ভাত, ভাজা শুকনো লঙ্কা, কাচা পিয়াঁজ, আলু মাখা ব্যাস। এটাই কিন্তু গ্রামের বাড়ির বেশিরভাগ সময়ের রুটিন খাবার। তবে, এই পান্তা এখন খিচুড়ির মতন সর্বত্র ছড়িয়ে গিয়েছে। গ্রাম থেকে শহরের ঘরে ঘরে পান্তা জায়গা করে নিয়েছে। শহরের মানুষেরা অবশ্য পান্তা ভাতের সঙ্গে মাছ ভাজা, আলু ভাজা, পকোড়া, শাক এসব যোগ করে এটাকে আরও অমৃত করে তোলেন। চলুন এবারে জানি পান্তা ভাতের কিছু গুণাগুণ এবং কারা খেতে পারবে পান্তা ভাত ও কারা নয়।

কারা পারবে ও পারবে না পান্তা ভাত (Panta bhat) খেতে?

১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের পান্তা দেওয়া উচিত নয়, আবার ৬০ ঊর্ধ্ব বয়স্ক মানুষদের। বাকি প্রত্যেকেই পান্তা খেতে পারেন।

কখন খাওয়া উচিত?

গরম কাল আদর্শ পান্তা ভাত খাওয়া জন্য। বিশেষত সকালে। শীত কালে পান্তা এড়িয়ে চলুন, ঠান্ডা লাগতে পারে। গরম কালে এই ভাত খেলে পেট ঠান্ডা থাকে।

পান্তা ভাতের গুণাগুণ

হাড় মজবুত করার জন্য পান্তা দুর্দান্ত। গ্রামের মানুষরা এই জন্যেই পান্তা খায় বিশেষ করে। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে। যাঁদের হাড় দুর্বল, তাঁরা নিয়মিত পান্তা খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে।

আয়রনে ভরপুর হল পান্তা ভাত যা শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। গ্রামের মানুষ যেমন দুধ পান করে, তেমনই নানান ধরনের শাক খান। পাশাপাশি ডুমুর, থোর, মোচা এসব খান। সেরকমই পান্তা ভাত এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর আয়রন। সপ্তাহে দুদিন আপনি পান্তা ভাত খেয়েই নিতে পারেন। হাতের কাছে কিছু না থাকলে কাচা পিয়াঁজ, লঙ্কা ও নুন সর্ষে তেল দিয়ে মেখে চেটেপুটে খেয়ে নিন। পেট মুখ দুয়েরই শান্তি।

Related Articles