এর আগে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিস্ফোরক হয়েছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Moushumi Chatterjee)। এবার হেমা মালিনী (Hema Malini)-ও হাঁটলেন একই পথে। এতদিন তিনি যা যা বলতে পারেননি, সবকিছুই অকপট হয়ে বললেন ‘ড্রিমগার্ল’। খুব অল্প বয়সে দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্মের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন হেমা। কিন্তু তৎকালীন দক্ষিণ ভারতীয় পরিবারগুলির মতো রক্ষণশীল ছিল তাঁর পরিবারও। খোলামেলা পোশাক পরার অনুমতি ছিল না। যদি কখনও খোলামেলা পোশাক পরার প্রয়োজন হত তাহলে পরিবারের সদস্যরা যথেষ্ট অসন্তুষ্ট হতেন হেমার উপর। হেমার রূপের খ্যাতি পৌঁছে গিয়েছিল বলিউড অবধি।
তবে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষিণী মেয়েকে নিজের পায়ের জমি তৈরি করতে যথেষ্ট লড়াইয়ের পথ বেছে নিতে হয়েছিল। দক্ষিণী টানে তাঁর হিন্দি উচ্চারণের ফলে এই লড়াই ছিল আরও কঠিন। 1968 সালে বলিউডে ‘স্বপ্নোঁ কা সওদাগর’ ফিল্মে প্রথমবার নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন হেমা। এই ফিল্মে তাঁর বিপরীতে নায়ক ছিলেন হেমার তুলনায় প্রায় তেইশ-চব্বিশ বছরের বড় রাজ কাপুর (Raj Kapoor)। ফিল্মটি পরিচালনা করেছিলেন মহেশ কৌল (Mahesh Kaul)। হেমার মা মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই ফিল্মের জন্য রাজি হয়েছিলেন।
হেমার মতে, ‘স্বপ্নোঁ কা সওদাগর’-এর নায়ক চরিত্রের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত ছিলেন রাজ। তবে শুটিংয়ের শুরুতে রাজের সাথে কাজ করতে তাঁর যথেষ্ট অস্বস্তি ও ভয় হত বলে জানিয়েছেন হেমা। কিন্তু সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন মহেশ। ফলে হেমার জন্য অভিনয়ই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। রাজকে তিনি শুধুই অভিনেতা হিসাবে দেখেছিলেন।
তবে এহেন রাজও ভয় পেতেন হেমার মাকে। তিনি ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’-এর জন্য হেমার কথা ভেবে তাঁর মায়ের কাছে ফিল্মের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু হেমার মা সরাসরি তাঁর মুখের উপর জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে এই ধরনের ফিল্মে অভিনয় করবেন না। এরপর আর কিছু বলতে সাহস পাননি রাজ।
View this post on Instagram