Lifestyle: চুল ও ত্বকের পরিচর্যায় আমের খোসা এবং পাতার ব্যবহার জানলে আর ফেলবেন না
চুল ও ত্বকের পরিচর্যায় অনেক প্রাচীনকাল থেকেই আমের খোসা এবং আমপাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আম পাতার ঔষধি গুনাগুন আমরা প্রত্যেকেই জানি ডায়াবেটিসের রোগী আছেন, তারা যদি প্রতিদিন আমপাতা ফোটানো জল খেতে পারেন। তাহলে সুগার কিন্তু অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাহলে বুঝতে পারছেন, এগুলি আপনার জন্য কতখানি উপকারী। তাই আর দেরি না করে আপনার ত্বক এবং চুলের পরিচর্যায় আমের খোসা এবং আমপাতা ব্যবহারের বিধি জেনে নিন।
আমপাতা – প্রথমে আমের পাতা ভালো করে সংগ্রহ করে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে মিক্সিতে গুঁড়ো করে রাখতে হবে। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য এ গুঁড়ো করা আম পাতা খুবই উপকারী। কিংবা যদি চান প্রতিদিন গাছ থেকে পেড়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু যাদের গাছ নেই তারা এ গুঁড়ো সহজে ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন স্নানের আগে সামান্য টক দইয়ের সঙ্গে এই আম পাতা জোড়া ভাল করে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ত্বক কত সুন্দর হয়ে গেছে স্ক্রাবিং করার পাশাপাশি আমপাতা আপনার ত্বককে প্রাকৃতিক পুষ্টি জোগাবে, এ ছাড়াও অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে এই আমপাতা ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে সারা রাত মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে পারেন। তবে যদি কোনরকম চুলকুনি হয়, তাহলে কিন্তু তখনই আপনাকে মুছে ফেলতে হবে। তাহলে আম পাতা আপনার জন্য একেবারেই নয়। চুলের পরিচর্যায় আম পাতা ব্যবহার করতে পারেন এক লিটার জলের মধ্যে বেশ পাঁচ থেকে ছয়টি আমপাতা ফোটাতে হবে। অন্তত পাঁচ মিনিট ধরে তারপরে জলকে ছেঁকে নিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন পরপর ১০ দিন করতে পারেন, এটি আপনার চুলকে খাদ্য যোগাবে প্রাকৃতিক ভাবে।
আমের খোসা – আমরা অনেকেই জানিনা, আমের খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য ভীষণ উপকারী পাকা আম খেয়ে আমের খোসা কিন্তু একেবারে ফেলে দেবেন না। খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় নাইট ক্রিমের জায়গায় অ্যালোভেরার সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন, এছাড়া এর সঙ্গে ফেসপ্যাক টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মুখে-গলায় লাগিয়ে অন্তত আধ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন, আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না, এটি আপনার ত্বককে কতটা সুন্দর করে দেবে।