Hoop Life

Skin Care: গরমের মধ্যে ত্বক হবে ঝলমলে, হাতে তুলে নিন এক টুকরো বরফ

আপনি কি জানেন? এই জিনিসটা আপনার ত্বককে একটা শান্তি দিতে পারে,এই জিনিসটা কিন্তু আপনার বাড়িতে সহজেই আপনি পেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে দোকান থেকে বেশি দাম দিয়ে কিছু কিনতে হবে না। বাড়িতে যদি ফ্রিজ থাকে এর মধ্যে কয়েক টুকরো বরফ জমিয়ে নিন, তাহলে কিন্তু আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে আপনি এই গরমে রেহাই পেতে পারেন।

আপনি কি জানেন? মুখে এক টুকরো বরফ ঘষার ঠিক কতখানি উপকারিতা? না অনেকেই জানেন না। অনেকেই বিউটি পার্লারে গিয়ে কত কিছু করিয়ে থাকেন, কিন্তু জানেননা, এক টুকরো বরফ আপনার ত্বকে ঠিক কতটা সুন্দর করতে পারে।

১) ব্রণ প্রতিরোধ করে বরফ। বরফ হল একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যা ব্রণ কমাতে এবং নিরাময় করতে সহায়তা করে। এটি ফোলা ত্বককে ভালো করে এবং প্রশমিত করে এবং আপনার ত্বকের ছিদ্রের আকারকে ছোট করে। এটি অতিরিক্ত সিবাম কমিয়ে দেয়, যা ব্রণের জন্য দায়ী।

২) উজ্জ্বল ত্বকের চাবিকাঠি হল এক টুকরো বরফ। আমরা সবাই উজ্জ্বল ত্বক চাই। এর জন্য, আমরা অনেক ব্যয়বহুল পণ্য ব্যবহার করেছি, কিন্তু আমরা ফলাফল পাই। মুখে বরফ লাগালে তা আপনার ত্বকে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে এবং উজ্জ্বল করে। এটি ত্বকে অক্সিজেনের মাত্রা উন্নত করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন সরবরাহ করে।

৩) চোখের নিচে আইস কিউব লাগানো যায়, ডার্ক সার্কেলের সবচেয়ে ভালো প্রতিকার হতে পারে। এর মধ্যে কিছু গোলাপ জল ফুটিয়ে তাতে শসার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি হিমায়িত করুন এবং তারপর আপনার চোখের নীচে আইস কিউব লাগান। যাইহোক, এই প্রতিকার আপনাকে সারা জীবনের জন্য স্থায়ী ফলাফল দেবে।

৫) বার্ধক্যের লক্ষণগুলি হ্রাস করে বরফ। যদি নিয়মিত বরফ ঘসা যায় বা সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখে বরফ ঘষা যায়, তাহলে আপনার ত্বক হবে ভীষণ পরিষ্কার হবে। আমরা অনেকেই দেখে থাকি যে সেলিব্রেটিরা কিন্তু সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই এক বাটি বরফ গলা জলের মধ্যে মুখ ডুবিয়ে বেশ খানিকক্ষণ বসে থাকেন, তাদের এই এত সুন্দর স্কিনের রহস্য কিন্তু একবারটি বরফ গলা জল।

নিষেধাজ্ঞাঃ যাদের সেনসিটিভ স্কিন তারা কিন্তু সরাসরি বরফ মুখের মধ্যে ঘষবেন না, সেক্ষেত্রে একটা পাতলা সুতির কাপড়ের মধ্যে বরফের টুকরোটাকে নিয়ে আস্তে আস্তে মুখের মধ্যে দিতে পারেন।

সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

Related Articles